সিলেট নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া এলাকার দক্ষিণ খান বাড়িতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ খানবাড়ি এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঠানপাড়া দক্ষিণ খানবাড়ি এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা।
এই এলাকায় জনৈক আব্দুস শাকুর এর তিন ছেলে আব্দুল বাছিত, আব্দুল লতিফ, আব্দুল হামিদ ৮ফুট রাস্তার ভেতরে ৩ ডিসিমেল জায়গা ক্রয় করে একটি ৫তলা ভবন অবৈধভাবে নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ক্ষেত্রে সিলেট সিটি করপোরেশনের বিল্ডিং কোড যথাযথ মেনে ভবন নির্মাণ করা হয়নি। ২০১৫ সালে সিটি করপোরেশন থেকে ভবনের উত্তর দক্ষিণে ৫ফুট ও পূর্ব পশ্চিমে ৪ফুট করে ছেড়ে দিয়ে সামনে ১২ফুট রাস্তা ও নিচতলা পার্কিং দেখিয়ে ৪তলা বিল্ডিং এর অনুমোদন নেওয়া হয়।
বাস্তবে আব্দুল বাছিত গং ভবনের চারিদিকে কোনো অবশিষ্ট জায়গা ও ভবনের নিচতলায় গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো জায়গা রাখেননি। উপরন্তু সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে ৫তলায় একটি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বারবার কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানালে ভবনের মালিক আব্দুল বাছিত গং অনুরোধ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। ২জুলাই ২৭নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া দক্ষিণ খানবাড়ি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন করেন।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩জুলাই সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী সুমন চন্দ এর নেতৃত্বে একটি দল বিল্ডিংটি পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। এ সময় প্রকৌশলী সুমন চন্দ ভবনের মালিক আব্দুল বাছিত গংদের ভবনে অবৈধভাবে টাওয়ারসহ নির্মাণ কাজ বন্ধ, নিচতলার গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা খালি রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযোগের বিষয়ে দক্ষিণ খান বাড়ির বাসিন্দা দিলওয়ার খান বলেন, ‘আমাদের যাতায়াতের অসুবিধা, রাস্তার উপরে পার্কিং, এখন আবার মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে।
আমরা এলাকাবাসী সিটি করপোরেশনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷’ ভবনের মালিক আব্দুল বাছিত এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী সুমন চন্দ ভবন পরিদর্শনের পরে জানান, ‘আমরা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এবং কাজ বন্ধ ও পার্কিং এর জায়গা খালি করে রাখার নির্দেশ প্রদান করেছি।
এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাঠানপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতওয়াল্লি মজাফফর খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুলজার খান, বিশিষ্ট সমাজসেবী কাহির খান, শাহজাহান খান, জলিল খান, দিলোয়ার খান, বদরুল খান উবেদ, তফজ্জুল খান, ইফাদ খান, ফাহিম খান, এখতিয়ার খান, মাজেদ খান, ইউসুফ খান, রাসেল খান প্রমুখ।