প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গসহ সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ও মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিলেটের একটি অভিজাত হোটেল হোটেল সুপ্রিমে আয়োজিত এক সংলাপে এ কথা বলেন প্রধান অতিথি সিলেটের সিভিল সার্জন ডা.মো.নাসির উদ্দিন।
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে এবং নাগরিকতা : সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড'র সহায়তায় অনুষ্ঠিত এ সংলাপের শিরোনাম ছিল—স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের সম্পৃক্তকরণ: সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধিতে স্থানীয় উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রউফ শাহ, সিলেট মহিলা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাহিনা আক্তার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো.আব্দুর রফিক, সিলেটের সিনিয়র সহকারী বিচারক ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা বিশ্বেশ্বর সিংহ, সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.জন্মেজয় দত্ত, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ড. মো. মাহমুদুল হাসান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্ধু’র ম্যানেজার (পলিসি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড এইচআর) মোশিউর রহমান নাগরিকতা সিইএফ-ফান্ডেড প্রকল্পের অগ্রগতি এবং গ্যাপ অ্যানালাইসিস উপস্থাপন করেন বন্ধু’র প্রকল্প কর্মকর্তা ওয়াচাকুরুনি খান আকাশ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হলে নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ের সংলাপ ও অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হিজড়া যুব কল্যাণ সংস্থা সিলেট'র সভাপতি সুক্তা।