মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন

সড়ক দুর্ঘটনায় শফিকুল নিহত, বিচারের দাবি পরিবারের

  • প্রকাশের সময় : ০৯/০৮/২০২৫ ০৮:৪৮:৫৪
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের সংগৃহীত
Share
48

সুনামগঞ্জে বাস- সিএনজি সংঘর্ষে শফিকুল ইসলামের নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস চালকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার।



শনিবার( ৯ আগস্ট) সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারঘাট গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কান্নাজড়িত কন্ঠে নিহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, আমার স্বামী পরিবারের একমাত্র সম্বল ছিলেন। তাকে হারিয়ে আমরা আজ দিশেহারা। আমাদের নিজের কোন ঘরবাড়ি নাই। সুনামগঞ্জ শহরে আমরা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। আমাদের কোন ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে ছিলো তাদের বিয়ে হয়ে গেছে, এখন আমাকে দেখাশোনা করার মতো কোন মানুষও নাই। আমি কোথায় গিয়ে দাড়াবো, কার কাছে থাকবো। আমার স্বামী কে যে মেরেছে আমি সেই ঘাতক ড্রাইভারের উপযুক্ত শাস্তি চাই। একজন অসহায় নারী হিসেবে আমি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা চাই।



নিহত শফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে তাহমিনা আক্তার বলেন, ৬ আগস্ট মোবাইলে ফোনে একজন জানান আমার বাবা এক্সিডেন্ট করেছেন। পরে আমরা সদর হাসপাতালে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় বিষয়টি সাংবাদিকদের জানাই। একটু পর খবর পাই আমার বাবা এক্সিডেন্ট করে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। খবরটি শোনার পর আমরা কান্নায় ভেঙে পড়ি। পরে পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাবাকে হারিয়ে আজ আমরা এতিম হয়ে গেছি। এই ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলন ও আলোচনা হলেও আমাদের পরিবারের খবর কেউ নিচ্ছে না। আমি এই ঘাতক ড্রাইভারের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।



নিহত শফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ের জামাই নাঈম ইসলাম বলেন, আমার শশুর নিহতের পর থেকে এখন পর্যন্ত খোঁজখবরতো দুরে থাক কেউ এসে সান্ত্বনাও দেয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কোন সাড়া দেন নি। স্থানীয় প্রশাসনও এগিয়ে আসেনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে এই পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমি এই ঘাতক বাস ড্রাইভারের উপযুক্ত বিচার এবং এই পরিবারের পাশে সহযোগীতা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।



সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান, আবু মুসা, নিহত শফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে মমতাজ বেগম, বড় মেয়ের জামাই হেলাল মিয়া প্রমূখ।



উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট দুপুরে সুনামগঞ্জের বাহাদুরপুর নামক স্থানে বাস- সিএনজি সংঘর্ষে শফিকুল ইসলামসহ ও ২ শিক্ষার্থী নিহত হন।


সিলেট প্রতিদিন / এসআই


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি