রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

ইতালি পাঠানোর নামে দেড়শ’ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাত!

  • প্রকাশের সময় : ০৯/০৭/২০২৫ ১০:৫০:১৪
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের ছবি সংগৃহিত
Share
28

ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি পাঠানোর নামে দেড়শ যুবকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিয়ানীবাজারের লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ পাহাড়িয়াবহর এলাকার শফায়ত আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। বুধবার বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।


সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের আদিনাবাদ এলাকার শিক্ষক ছয়ফুল আলমের পুত্র জামিল আহমদ।


লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বৈধভাবে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়ার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে তারা ৬ মাসের চুক্তিতে দেলোয়ার হোসেনের কাছে পাসপোর্ট জমা দেন। দেলোয়ার এবং তার পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ, চেকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জনপ্রতি ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে প্রদান করেন তারা। কিন্তু চুক্তিপত্রের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও এখনও ভিসা বা টাকা কোনোটাই দেওয়া হয়নি তাদের। এ নিয়ে লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।


তিনি বলেন, নানা বাহানায় কালক্ষেপনের একপর্যায়ে টাকা না দেওয়ার জন্য দেলোয়ার নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে তাদের অনেককে হুমকি প্রদান করেন। ভয়-ভীতি দেখিয়ে অনেককে চুপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু রুবেল আহমদ নামের একজনের সাথে আপস করে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। পরে সকল পাওনাদার মিলে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ার আওয়ামী লীগের দোসর সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।


জামিল আহমদ বলেন, দেলোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তখন বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তারা অনেকেই তাকে বিশ্বাস করে সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা প্রদান করেছেন। কিন্তু দেলোয়ার তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে টাকা আটকে রেখেছেন। এর ফলে তারা অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে দেলোয়ার সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।


তিনি বলেন, আমরা আমাদের পাওনা টাকা ফেরত চাই। নইলে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।


সিলেট প্রতিদিন / Sl


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি