সিলেটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও দুই থেকে তিন শতাধিক অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হলদারপুর গ্রামের এস এম পলাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর পাঠানটুলার আল-আমিন রোডে বসবাস করছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ১৯ জুলাই বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদে এবং ৪ আগস্ট বন্দরবাজার ও বারুতখানায় সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে।
এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিসিকের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমাদ আহমদ রুবেল, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমদ শামীম, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রূকন, কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক তমিজ উদ্দিন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দেলোয়ার হোসেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রাহি।
আদালতের নির্দেশে ৪ আগস্ট কোতোয়ালী থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হলেও বিষয়টি তখন গোপন রাখা হয়।