শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

ইউপিজি সাস্টেইন্যাবিলিটি লিডারশীপ প্রোগ্রামের শর্টলিস্টে শাবি শিক্ষার্থী নাজমুল

  • প্রকাশের সময় : ০৬/০৭/২০২৫ ০৩:২০:৪১
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
42

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হাসান ‘ইউপিজি সাস্টেইন্যাবিলিটি লিডারশীপ প্রোগ্রাম-২০২৫’-এ শর্টলিস্টেড হয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক ইউনাইটেড পিপল গ্লোবাল (UPG) এবং যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন আইল্যান্ড সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড লিডারশিপ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হয়।


বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী এ বছরের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রায় নয় সপ্তাহব্যাপী ভার্চুয়াল ট্রেনিং আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ৫০০ শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট এবং ৬০ জনকে যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন আইল্যান্ডে ফুল ফান্ডিং-এ এক সপ্তাহের সরাসরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের এই শিক্ষার্থী জানান, তার বিভাগের সিনিয়র হাবিবুর রহমান মাসরুর ২০২৩ সালে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং আমেরিকার ট্রেনিং সেশনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও বন্ধু রাজু, জসিম এবং নুপুর খানমের উৎসাহ ও দিকনির্দেশনায় তিনি আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন।


নাজমুল বলেন, “আমি এই প্রোগ্রামের অংশ হতে পেরে গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, সহপাঠী, সিনিয়র-জুনিয়রদের নিয়ে আমি মিনি ট্রেনিং সেশন আয়োজন করেছি, যেখানে আমরা এসডিজি ভিত্তিক বৈশ্বিক সমস্যা যেমন দারিদ্র্য, ক্ষুধা, লিঙ্গ বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেছি।”


তিনি আরও বলেন, “আমি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিশুদের মাঝে গুণগত শিক্ষা অর্জনের আগ্রহ তৈরি করি, দারিদ্র্য নিরসন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি এবং লিঙ্গবৈষম্য দূর করে টেকসই বিশ্ব গঠনে অবদান রাখার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করি।”


নাজমুলের মতে, ইউপিজি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা তরুণদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি শুধু ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগই দেয় না, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়।


“এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমি আমার সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে অংশ নিতে পারছি—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি,”—বলেন নাজমুল।


নাজমুলের এই অর্জন শাবিপ্রবি পরিবার ও তরুণ সমাজের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তরুণদের অংশগ্রহণে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, টেকসই ও সমৃদ্ধ পৃথিবী নির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।


সিলেট প্রতিদিন / এএ


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি