পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেট জুড়ে চলছে আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জে পালিত হয় গণ অনশন কর্মসূচি। অনশন শেষে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে পর্যটকবাহী প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা ও বাস ভাংচুর করা হয়। এসময় উপস্থিত জনতার সহায়তায় পুলিশ দুজনকে ধরতে সক্ষম হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি কিছু দুষ্কৃতকারীরা গাড়ি ভাংচুর করেছে। এর সাথে ব্যবসায়ীদের কোন সম্পর্ক নাই।
সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যনারে সিলেটের লোড-আনলোড পয়েন্টে কর্মবিরতি, গণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির তৃতীয় দিনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে বেলা ১২টায় গণ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হেকিমের পরিচালনায় গণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ও বক্তব্য রাখেন-সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. নাজির আহমদ স্বপন, ট্রাক মালিক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, মুজিবুর রহমান, নারায়ন পুরকায়স্থ ফনি, কয়ছর আলী জালালী, সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুল, সিলেট সদর পাথর স্টোন ক্রাশার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মন্তাজ আলী, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঐক্য পরিষদের সম্বন্বয়ক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. কবির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজ মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আমিন, মিল মালিক আলম চেয়ারম্যান, মুরশেদ আলম, মুজিবুর রহমান, পূর্ব ইসলাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন প্রমূখ।
গণ অনশনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা সংঘাত ও জনসাধারনের ক্ষতিকারক কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। সরকার ও প্রশাসনের বিবেকের দিকে চেয়ে রয়েছি। কিন্তু মানবিক কর্মসূচি দেওয়ার পরও সরকার মালিক-শ্রমিকদের দাবী মেনে নিচ্ছেন না। জানি না সরকার আন্দোলনকে কোন পথে নিতে সিলেটের সকল মালিক-শ্রমিককে বাধ্য করছেন। এখনো আমরা আশাবাদী, সরকার অসহায় মানুষের দিকে ফিরে থাকাবেন। এসময় তারা আরো বলেন বুধবার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শওকত আলী বাবুল জানান, গণ অনশন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ করে আমরা টুকের বাজার চলে আসি। তখন জানতে পারি কে বা কারা গাড়ি ভাংচুর করতেছে। আমাদের আন্দোলন অন্য দিকে প্রবাহিত করতে কিছু দুষ্কৃতকারী গাড়ি ভাংচুর করেছে। এদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমাদের লোকজন ২জন গাড়ি ভাংচুরকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুজন চন্দ্র কর্মকার বলেন গাড়ি ভাংচুরের সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।