সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্বসোনাপুর গ্রামের গ্রামের মৃত সিন্ধু মিয়া'র পুত্র বাছির উদ্দিন (বাদশা) ও আহমদ আলী'র পুত্র ফরিদ মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার দায়ে একই গ্রামের আব্দুল হেকিম ও তার পুত্র ছইদুল হককে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। এসময় এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুর ১২ টায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্বসোনাপুর ও লুভিয়া যাতায়াতের সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৯ জুন ( বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের সময় বাছির উদ্দিন ও ফরিদ মিয়া স্থানীয় ইছামতি বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে পূর্ব সোনাপুর গ্রামের স্থানীয় হাদিস মিয়ার বসতবাড়ির সংলগ্ন যাতায়াতের কাচা রাস্তায় পৌছালে অভিযুক্ত আব্দুল হেকিম ও তার ছেলে ছইদুল মিয়া পূর্ববিরোধের জেরে রাস্তায় উৎপেতে থাকে ও পথ গতিরোধ করে আটকিয়ে গালিগালাজ করে ও হুমকি প্রদান করে যে তাদেরকে পৃথিবীতে বাচিয়ে রাখতে দিবে না।আজই তাদের শেষ দিন।
এঘটনায় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশি লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বাঁধা দিয়ে তাদের কে উদ্ধার করে। এসময় বাছির উদ্দিন ও ফরিদ মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় আব্দুল হেকিম, ছইদুল ও তার লোকজন ।
এর আগে আব্দুল হেকিম ও ছইদুল হক কর্তৃক বাছির উদ্দিন ও ফরিদ মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার একটি অডিও ফোন কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তাতে শুনা যায় বিবাদী হেকিম মিয়া ও ছইদুল হক কর্তৃক ফরিদ মিয়া ও বাছির উদ্দিন কে প্রাণের মারার ষড়যন্ত্র করছেন। শুধু তাই নয় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হেকিম মিয়া সে নিজে তার সাথে ইয়াবা ট্যাবলেট ও ভারতীয় অবৈধ মদ সংগ্রহ করে রাখে যে বিজিবি কে দিয়ে ফরিদ মিয়া ও বাছির উদ্দিন কে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাবে। এমন একটি অডিও ফোন কল রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষণ আছে।
স্থানীয়রা জানান,হেকিম মিয়া খুবি খারাপ প্রকৃতির একজন লোক। সে ভারতীয় অবৈধ ব্যবসা করে এবং আওয়ামীলীগের দূসর বলেও আখ্যায়িত করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন,গত কয়েক বছর আগে পারিবারিক বিরোধের জেরে তাইর এক প্রতিবেশিকে নিজের চিনি দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় এবং বিজিবি কে দিয়ে আটক করে জেলে পাঠায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী ফরিদ মিয়া ও বাছির উদ্দিন, স্থানীয় আলফাজ উদ্দিন, আব্দুল আলী,দুলাল মিয়া,আব্দুল কুদ্দুস, সুলতান মিয়া,আব্দুল খালেক, শাহাজাহান মিয়া,সেনু মিয়া,আলম উদ্দিন,মজিদ মিয়া,হাশিম মিয়া,হাবুল্লাহ,বাদল মিয়া,তারা মিয়া,কুদ্দুস মিয়া,আব্দুল সিদ্দিক,বিল্লাল মিয়া,মজিদ মিয়া,মাইন উদ্দিন,উমর আলী,আমিন মিয়া,আমির জাহেদ,আব্দুর রশিদ,আমির হামজা,সাইদু মিয়া,সুমন মিয়া,কাদির মিয়া,আনোয়ার হোসেন।
এবিষয়ে গত ২৬ জুন ভুক্তভোগী বাছির উদ্দিন বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হেকিম মিয়া ও ছইদুল হককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান বিক্ষুব্ধ জনতা।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে, তথ্য উপাধ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।