সিলেটের জকিগঞ্জে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫জুন) সকালে নিজের বসতঘরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম সুজিয়া বেগম। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রামের দুবাইপ্রবাসী মোখতার হোসেনের স্ত্রী ও বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সুজন মিয়াসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে সুজিয়া বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
সুজিয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানান, বুধবার ভোরে একটি কক্ষে সুজিয়াকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনার সময় বাড়িতে সুজিয়ার দেবর ও খালা শ্বাশুড়ি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
প্রতিবেশী সুজিয়ার ননদের ছেলে আবদুল্লাহ জানান, ১০-১১ বছর আগে তার প্রবাসী মামা মোখতার হোসেনের সঙ্গে সুজিয়া বেগমের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর এই দম্পতির একটি সন্তান জন্মের পর মারা যায়। এরপর তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ধারণা, মানসিকভাবে অসুস্থ সুজিয়া বেগম নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেন।
সুজিয়া বেগমের ভাই রকিব আলী জানান, গত কয়েক বছর ধরে তার মাথায় সমস্যা ছিলো। বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার ও মোল্লার কাছে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। কিছুদিন ধরে সে স্বাভাবিক ছিলো।কিন্তু গত সোমবার থেকে পূর্বের সমস্যা দেখা দেয়। আর আজ এই ঘটনা ঘটে। এখানে কাউকে সন্দেহ করার কিছু নেই। কারণ বোন জামাইও আমার খালাতো ভাই।
এব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সুজন মিয়া বলেন, ‘দুবাইপ্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে শুনেছি। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ওই নারী নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।