সিলেটে জৈন্তাপুরে বন্ধুদের সাথে নিয়ে তালকাপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন গ্রেপ্তার দুজন।
সোমবার দুপুরে তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বলে জানান জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজামান। এর আগে রবিবার বিকেলে কৃষকের ছদ্মবেশে দরবস্ত বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ফান্দু গ্রামের মৃত আবদুল কালামের ছেলে আবদুল মুমিন (৩০) ও একই ইউনিয়নের করগ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে বদরুল ইসলাম (৩০)। অপর অভিযুক্ত পলাতক।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে এক নারী ও তার ১২ বছর বয়সী ছেলে চিকিৎসার জন্য জৈন্তাপুরের দরবস্ত বাজারে যান। এসময় তার প্রাক্তন স্বামী আবদুল মুমিন জরুরি কথা আছে বলে ছেলেকে গাড়িতে তুলে তার নানাবাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর ওই নারীকে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যান। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করছিলেন মুমিনের দুই বন্ধু। ওই নারীকে সেখানে শনিবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আটকে রেখে মুমিন ও তার দুই বন্ধু ধর্ষণ করে ফেলে যান। গভীর রাতে সেখান থেকে মুক্ত হয়ে ওই নারী তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। রবিবার তিনি জৈন্তাপুর থানায় অভিযোগ করেন।
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল কৃষকের ছদ্মবেশে দরবস্ত বাজারে অভিযান চালিয়ে মুমিন ও বদরুলকে গ্রেপ্তার করেন। সোমবার তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হলে ওই নারীর প্রাক্তন স্বামী আবদুল মুমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতের বরাত দিয়ে ওসি বদরুজ্জামান জানান, প্রাক্তন স্বামী মুমিন ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। তিনি কৌশলে তার প্রাক্তন স্ত্রীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে দুইবন্ধুসহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মুমিন। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।