বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন

শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: দুই আসামি চারদিনের রিমান্ডে

  • প্রকাশের সময় : ২৩/০৬/২০২৫ ০২:৫৪:৫১
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের ছবি সংগৃহিত
Share
24

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


সোমবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হারুনুর রশিদ গ্রেপ্তার হওয়া শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে রোববার আদালতে হাজির করে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

এ তথ্য জানিয়ে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, আদালত আজ ৪ দিনের রিমানড মঞ্জুর করেছেন। আমরা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে তাদের সাথে আরও কেউ জড়িত কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।

এরআগে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শান্ত তারা আদনান (২৩) ও স্বাগত দাস পার্থ (২২) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দু'জনই শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।

এরপর শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী বাদি হয়ে সিলেটের কতোয়ালি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থ’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ এবং বিশ্ববিদ্যালের শৃঙ্খলা-বডি সূত্রে জানা যায়- গত ২ মে সন্ধ্যারাতে সহপাঠী শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থের সঙ্গে শহরের কনসার্টে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে তারা ওই ছাত্রীকে সুরমা এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন আদনান এবং পার্থ। একইসাথে এই ঘটনার ভিডিও এবং মেয়েটির নগ্ন ছবি ধারণ করেন। পরে ওইসকল ভিডিও ও নগ্ন ছবি দেখিয়ে আদনান এবং পার্থ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এবং ঘটনা জানাজানি করলে ভিডিও ও ছবি অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করলে প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ আদনান এবং পার্থকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। এরপর প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা শেষে তাদেরকে থানায় পুলিশ হেফাজতে নেন।

এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে শনিবার তির সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


সিলেট প্রতিদিন / Sl


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি