সিলেটের জাফলং পাথর কোয়ারি ও প্রধান প্রধান সড়ক মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিল সমুহের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালিয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন। পর্যটন ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত এসব স্টোন পাথর ক্রাশার মেশিনের দ্বারা পরিবেশ ও বিদ্যুৎ সূরক্ষায় সরকারের নির্দেশনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিল সমুহের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ অভিযানেনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স সদস্যরা এ অভিযানে অংশগহণ করেন।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)রতন কুমার অধিকারী। অভিযান চলাকালে এ সময় ৬৭টি স্টোন ক্রাশার মিলের অবৈধভাবে দেয়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে সহায়তা করেন, গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার মো. তোফায়েল আহমদ,পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ,প্রকৌশলী (পিডিবি) সজল চাকলাদার,সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম,সিলেট বনবিভাগের সারী রেঞ্জ অফিসার মো. বিপ্লব হোসেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী বলেন,প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে যত্রতত্র গড়ে উঠা পরিবেশ বিনষ্টকারী স্টোন ক্রাশার মিল সমুহের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু হয়েছে। পরিবেশ বিনষ্টকারী প্রতিষ্টান ও স্থাপনা ও তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান সব সময় চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে কোন ভাবেই আইন অমান্যকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে, গত শনিবার (১৪ জুন) জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টাগণ পাথর কোয়ারী সমুহ থেকে পাথর উত্তোলন ও পরিবেশ বিনষ্টকারী কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তারা।