সুরমা নদীতে পরিবেশ বিধ্বংসী বালু উত্তোলন। ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সিলেটের দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ফাটল ধরেছে নদীর দুই পারে। হুমকির মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ। এ নিয়ে এলাকার জনমনে ক্ষোভে অন্তঃ নেই। ক্ষোভের বিস্ফোরণে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে নানা অঘটন।
জানা গেছে, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদী (নওয়াগাও) নামে একটি বালুমহাল রয়েছে। এ মহালের অপর অংশে রয়েছে কানাইঘাট উপজেলার বীরদল বাজার ও ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম, স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ীবাধ। জকিগঞ্জ এলাকাধীন মহাল দাবিতে অবিভক্ত সুরমা থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুরমা তীরবর্তী উভয় উপজেলার জনপদ। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে একটি প্রতিষ্ঠান ইজারা নামে খাবলে খাচ্ছে নদী ও জনপদ। প্রত্যেকদিন ১০ থেকে ১২টি হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে চালাচ্ছে ধংসাত্মক তান্ডব। মানছে না ইজারা সংশ্লিষ্ট শর্তাবলী ও নিয়ম কানুন।
গত ১৪৩১ বাংলা সনে এই মহাল লিজ দেওয়া হলে এটাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে হামলা মামলাসহ বহু অঘটন। তা সত্বেও চলতি ১৪৩২ বাংলা সনে মহালটি লীজ দেওয়া নিয়ে এলাকার জনমনে তীব্র ক্ষোভের সন্চার হয়েছে। এলাকাবাসী এই লীজ প্রদানকে পরিবেশ বিধ্বংসী আখ্যায়িত করে অবিলম্বে লীজ বাতিল সহ সুরমা তীরবাসীকে রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছেন।