সিলেট থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে গেলো হজের প্রথম ফ্লাইট। বুধবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৩৭ ফ্লাইটটি ৪০৮জন হজ যাত্রী নিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
গত বছরের মতো এবারও সিলেট থেকে ৫টি সরাসরি পরিচালিত হবে। এর মধ্যে আজ প্রথম ফ্লাইট যাচ্ছে সরাসরি মদিনায়। বাকি চারটি ফ্লাইট ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৯ মে সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে।
এবারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বেশ খুশি হজযাত্রীরা। তারা ভবিষ্যতে সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান।
এবার সিলেটের ২ হাজার ৭০০ জন হজযাত্রীদের মধ্যে ২ হাজার ৯০ জন সিলেট থেকে যাবেন ও বাকি হজযাত্রীরা ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে যাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক শাহ নেওয়াজ জানিয়েছেন, সিলেট থেকে ৩৫০জন ও ঢাকা থেকে ৫৮জন মোট ৪০৮জন হজযাত্রী নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে ফ্লাইটটি যাবে। এর বাইরে অন্য চারটি ফ্লাইটে ৪১৮জন করে হজযাত্রী প্রতি ফ্লাইটে যাবেন।
এর আগে বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক শাহ নেওয়াজ’র সভাপতিত্বে সিলেট-মদিনা হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যুগ্মসচিব (বিমান) মো.সফিউল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। আর সিলেট থেকে ২ হাজার ৭০০ জন হজে যাবেন। হজ যাত্রীদের যাতে কোনো ধরণের সমস্যা না হয় ও হজ যাত্রা যাতে খুবই আরামদায়ক হয় তার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকগুলো কমিটি কাজ করছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় হজ যাত্রীদের সেবায় কোথাও কোনো ঘাটতি রয়েছে কিনা এসব বিষয় মনিটরিং করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আনোয়ার উজ জামান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো.হাফিজ আহমদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি, সুধীজন, বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স ও বিমাবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশ (হাব) সূত্রে জানা গেছে, এবারও রোড টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ঢাকায়ই যাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে। তবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গমনকারী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন সৌদি আরবেই অনুষ্ঠিত হবে।