কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাফিজুল হকের মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টুকের বাজার মেজবান রেষ্টুরেন্টে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রকিব, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাব্বির আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদুর রহমান, প্রয়াত হাফিজুল হকের পিতা আব্দুল লতিফ (চানু মিয়া), তৈয়বুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন, ক্লাবের সহ-সভাপতি আনোয়ার সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর রেদওয়ান মনা, অর্থ সম্পাদক আলী হোসেন, অফিস সম্পাদক ফখর উদ্দিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আহমদ, কার্যনিবার্হী সদস্য সুহেল রানা, কুতুব উদ্দিন, আল মদিনা মডেল মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল সাংবাদিক মোহাম্মদ ঈসা তালুকদার, হানিফ মাহমুদ প্রমুখ।
প্রয়াত হাফিজুল হক চলে যাওয়া অনেক কষ্টের এবং বেদনাদায়ক উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন, প্রতিটি শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে হাফিজুল হকের ছিল অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক। তাঁর অকাল মৃত্যুতে যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পুরন হবার নয়। হাফিজুল হক ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের এক নিবেদিতপ্রাণ। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল একজন মানুষ ছিলেন। সমাজ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরিশেষে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা ও দোয়ার মাধ্যমে স্মরণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য: গত ২৭ নভেম্বর ব্রেইন স্ট্রোক করে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালীবাড়ি গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সিলেট এমসি কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স ও 'ল' কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি আবৃত্তিকার ও ছড়াকার ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।




কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি



