সিলেটের বিশ্বনাথে দু'পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা অনাকাঙ্খিত ও উদেশ্য প্রণোদিত বলে জানিয়েছেন ইলিয়াসপত্নী তাহসীনা রুশদী লুনা।
শুক্রবার (১০অক্টোবর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(ফেসবুকে) তার আইডিতে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ কথা জানান।
সিলেট প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইলিয়াসপত্নী তাহসীনা রুশদী লুনার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
সম্মানিত বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরবাসি আস্সালামুওলাইকুম,
বিশ্বনাথে গতকাল রাতে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা হয়েছে সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।সবাই কে ধৈর্য্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য অনুরোধ করছি। ষড়যন্ত্রকারীদের পাতা ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। সকল প্রকার সংঘর্ষ এড়িয়ে নিজেদের কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছি। ধানের শীষএবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার যে দায়িত্ব আপনাদের দিয়েছি সেটা নিষ্ঠার সাথে পালন করুন। কথায় বলে “যে সয় সে রয়“ ।
তাহসিনা রুশদীর
বি এন পি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্বনাথ পৌর সদরের বাসিয়া ব্রিজ ও থানা গেইটের সামনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী তাহসীনা রুশদী লুনা ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনায় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বনাথ উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা সাধারণ জনতার উপর অর্তকিত হামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অপরদিকে বহিস্কৃতদের নিয়ে হুমায়ূন কবিরও তাহার একটি সভা সম্পন্ন করে দৌলতপুর ইউনিয়নের চড়চন্ডি গ্রামের একটি বাড়িতে। সভাশেষে বিশ্বনাথ সদরে আসলেই তার সঙ্গে থাকা বহিষ্কৃত বিশ্বনাথের চিহ্নিত বেয়াদব ও ফ্যাসিস্ট আমলে সুবিধাভোগী সুহেল চৌধুরী বিশ্বনাথ বাসিযা ব্রিজে গাড়ী থেকে নেমেই ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ জনতার উপর অর্তকিত হামলা চালায় এবং সঙ্গে থাকা সিলেট ও ছাতক থেকে আনা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। সাধারণ জনতার উপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন এ ধরনের হামলা পূর্ব পরিকল্পিত এবং শান্ত বিশ্বনাথেেক উত্তপ্ত করার ব্যর্থ প্রয়াস।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিরীহ জনতার উপর হামলা চলাকালে দূরে অবস্থান করা যুবদল, ছাত্রদল নেতারা এগিয়ে আসলে সুহেল চৌধুরী ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ছাত্রদল নেতা মিনহাজ, আব্দুর রহমান সহ বেশ কয়েকজনকে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আহত করে। আহতরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে ঘটনা দৃশ্যমান রয়েছে।তাছাড়া বিশ্বনাথ থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুুসন্ধান করলে তা পাওয়া যাবে।
নেতৃবৃন্দ সাধারণ জনতার উপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যতায় বিএনপি বিশ্বনাথবাসীকে সাথে নিয়ে এ মিথ্যাচার ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। আর উদ্ভট এ পরিস্থিতিতে বিশ্বনাথবাসী ও ইলিয়াস প্রেমীদের ধর্য্য এবং শান্ত থাকার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতি দাতারা হলেন- আব্দুল হাই, সভাপতি-পৌর বিএনপি, ডা.মাহবুব আলী জহির, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-উপজেলা বিএনপি, মো. লিলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক-উপজেলা বিএনপি, শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক-পৌর বিএনপি, সামসুল ইসলাম, আহবায়ক- উপজেলা যুবদল, শাহ আমির উদ্দিন, আহবায়ক- পৌর যুবদল, মো. নুরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক- উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল, আশিকুর রহমান রানা প্রমুখ।




প্রতিদিন প্রতিবেদক



