শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

কানাইঘাটে সিঙ্গারীখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : ০২/১০/২০২৫ ২২:২২:৩২
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের সংগৃহীত
Share
19

কানাইঘাটে লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সিঙ্গারীখালের গোরকপুর থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সিঙ্গারী খালের তীরবর্তী বারহাল মসজিদের পাশে বেশ কিছু বালু মজুদ রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিনই ট্রাক যোগে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বালু পরিবহন করা হয়।


স্থানীয় লোকজন জানান সম্প্রতি গোরকপুর গ্রামের মৃত ইনসান আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি চক্র সিঙ্গারী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। তারা বালু তুলে মজুদ করে ট্রাক যোগে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। গোরকপুর গ্রামের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাজে সিঙ্গারীখাল থেকে বালু তুলতে গেলে ইসলাম উদ্দিন গংরা সিঙ্গারী খাল সরকারীভাবে লিজ নিয়েছে বলে বালু কাউকে তুলতে দিচ্ছেনা।


গত বুধবার গোরকপুর গ্রামের নছির আহমদ তার বসত বাড়ির আঙ্গিনার জন্য সিঙ্গারী খালের বার হাল মসজিদের পাশ থেকে বালু তুলতে গেলে ইসলাম উদ্দিন ও সহযোগীরা বাধাঁ প্রদান করেন এবং সিঙ্গারীখাল তারা লিজ নিয়েছে বলে নছির আহমদকে তাড়িয়ে দেয় এমনকি মারধরের হুমকি দেয়। সরেজমিনে গেলে উপস্থিত এলাকার অনেকে জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাক যোগে বিক্রির ঘটনায় গোরকপুর গ্রামের জনসাধারণের যাতায়াতের মাটির কাচাঁ রাস্তা ক্ষতিসাধন হচ্ছে এবং রাস্তাটি দেবে যাচ্ছে। তারা অবৈধভাবে মজুদ করে বালু বিক্রির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।


স্থানীয়রা বলেন বর্তমানে বালুর দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় বালুর সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে লিজ বিহীন সিঙ্গারী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ইসলাম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ৫০/৬০ টাকা দামে প্রতিফুট বালু বিক্রি করছেন। বালু উত্তোলন বা লিজ বিষয়ে অভিযুক্ত ইসলাম উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি তা অস্বীকার করে বিষয়টি উড়িয়ে দেন।


স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আকবর জানান, সিঙ্গারীখাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বালু মজুদ করে ট্রাক যোগে বিক্রি করায় রাস্তা-ঘাটের ক্ষতি হচ্ছে, এলাকার লোকজনের কাছ থেকে তিনি তা শুনেছেন। বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিনকে তিনি জানাবেন যাতে লিজ বহির্ভুত ভাবে কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করতে না পারে।


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সিঙ্গারী খাল ইজারা দেয়া হয়নি। কেউ সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকার লোকজন বলেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সিঙ্গাইরপুঞ্জি থেকে সিঙ্গারী খালের উৎপত্তি। যার কারনে এ খালের বালুর মান অত্যান্ত ভাল। যার কারনে পাকা বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট ও নির্মাণ কাজেই ব্যবহার হয়ে থাকে। সিঙ্গাইর খাল ইজারা দেয়া হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।


সিলেট প্রতিদিন / আরজে


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি