সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে নগরীর প্রতিটি থানায় দৈনিক অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২ জন সহ মোট ১৫জনকে গ্রেফতার করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এসময় পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও অপরাধীদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়ার তথ্য রয়েছে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুস চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, প্রতিটি থানায় প্রতিদিন ১৫ জন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স দিয়ে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করবে। অভিযানে মাদক, চোরাচালান, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা ১৩ জনসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কমপক্ষে ২ জনকে গ্রেফতার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের নথি অনুযায়ী, ডিসি, এডিসি ও এসি নিজ দায়িত্বে অভিযানের তদারকি করবেন। এছাড়া, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা জামিনে মুক্ত হলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে সংশ্লিষ্ট অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শহরের বেশিরভাগ এসআই ও এএসআই দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অসহযোগিতা প্রকাশ করছে। বিশেষ করে উদ্ধার সংক্রান্ত অভিযানের আগে খবর সংশ্লিষ্ট কারবারীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এ কারণে তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তালিকা প্রস্তুত করে দ্রুত কমিশনারকে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিদেশী নম্বর থেকে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনারকে জানাতে থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ওয়ারেন্ট তামিল, জব্দ তালিকা করার সময় নেওয়া সাক্ষীর ভিডিও ধারণসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সম্বলিত সিদ্ধান্তও এই সভায় নেওয়া হয়েছে।
তবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী জানিয়েছেন, এটি কেবল উদাহরণ হিসেবে আলোচনা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “যদি ছয়টি থানায় একজন করে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ছয়জন হবে; দুইজন করে গ্রেফতার করা হলে ১২ জন হবে। এটি শুধুমাত্র উদাহরণ।”
বৈঠকের নথি অনুযায়ী, এটি পুলিশ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ আলোচনার সিদ্ধান্ত। তবে তা বাইরে আসার পর বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।