সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মধুরিমা দাস প্রথমা। বন্ধুবৎসল বিনয়ী প্রথমাকে দিবা ও মর্নিং শাখার চার সেকশনের সকল (৩০০ শিক্ষার্থী) শিক্ষার্থীরা চিনতেন। তারাও স্কুলে ফোন দিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রথমার।
দুর্গোৎসবে নিজের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচঙে যাবে প্রথমা, এটা সহপাঠী বন্ধুরাসহ স্কুলের শিক্ষকরাও জানতেন। দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। শুক্রবার প্রথমা যাচ্ছিল বাবার ভিটেয় গিয়ে পূজোর উৎসবে শরিক হবে।
প্রথমা শ্রেণি শিক্ষক রায়হান—ই জান্নাত রীপা বললেন, ‘গেল ১৯ তারিখের সে জানিয়েছিল হবিগঞ্জের বাড়িতে পূজো করতে যাবে। আমি বলেছি রেজিস্টেশন চলছে, রেজিস্টেশন সেরে যেও।
বৃহস্পতিবারও ক্লাসে দেখলাম তাকে। জিজ্ঞেস করছিলাম— মধুরিমা কী বাড়ি যাবে না? বললো, ‘কাল শুক্রবার যাবো মেডাম। দোয়া করবেন।’ শুক্রবার সকালে মর্মস্পর্শি এই সংবাদ শোনার পর চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি। বারবারই তার (মধুরিমার) মুখ ভাসছিল চোখে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বললেন, মেধাবী শিক্ষার্থী হারিয়েছে আমাদের স্কুল। তার অকাল মৃত্যু আমাদের সকলকেই পীড়া দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বার বারই ফোন দিয়ে খোঁজ নিচ্ছে, কান্নাকাটি করছে। দুর্ঘটনায় দায়ী চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা। এভাবে একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটছে এই সড়কে। কিছুদিন আগে দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে। এমন মৃত্যু কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।