পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন সিলেটের ব্যাটারিচালিক অটোরিকশা চালকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা নগরের আলিয়া মাদ্রাসা থেকে মিছিল নিয়ে এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হন। এসময় সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা পুৈলৈশের চলমান অভিযানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন। বেআ সোয়া ১ টায় এ রিপোর্টেলেখার সময় তাদের বিক্ষোভ চলছিলো।
বিক্ষোভ থেকে বিভিন্ন দাবিও জানাচ্ছেন রিকশাচালকরা। দাবির মধ্যে রয়েছে-
আগামীকালকের মধ্যে জব্দ করার অটোরিকশা ফেরত দিতে হবে। এবং রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে প্রশাসন যেনো হয়রানি করতে পারবে না।
নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সোমবার থেকে অভিযানে নেমেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। অভিযানে প্রতিদিনই অবৈধ যানবাহন আটক ও মামলা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়ান কাগজপত্র না থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরে চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ অভিযানের আগে গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে আট দফা নির্দেশনা জারি করে।
নির্দেশনায় বলা হয়, যানজটমুক্ত নগরী গড়ে তুলতে সিলেট মহানগরীতে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা রেজিস্ট্রেশনবিহীন বা ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত অবস্থায় চলতে পারবে না। অনুমোদিত স্ট্যান্ডে নির্ধারিত সংখ্যার বেশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখা যাবে না। অনুমোদনবিহীন স্থানে কোনো ধরনের পার্কিং করা যাবে না। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী উভয়কেই বাধ্যতামূলকভাবে হেলমেট পরতে হবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীতে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি ঢুকতে পারবে না। কোনো পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। এ ছাড়া হেডলাইট, ব্রেক লাইট ও সিগন্যাল লাইট সচল না থাকলে গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। বাস, মিনিবাস, কোচ, কার, মাইক্রোবাস ও হাইয়েসের চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র ও সিটবেল্ট ছাড়া গাড়ি চালাতে পারবেন না। সিলেট শহরের ভেতরে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানো বা রাস্তার মধ্যে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
এসএমপি কমিশনারের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও জানানো হয়, নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।