সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে যাত্রী ছাউনি ভাঙা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দু’ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও পাপড়ি রেস্টুরেন্টসহ চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর কররা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার একদিন হয়ে গেলেও কোনো পক্ষ থেকে থানায় দেয়া হয়নি কোনো অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালাবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। এতে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে সমজিদের যাত্রী ছাউনি। আর ওই যাত্রী চাউনী ভাঙা নিয়ে সন্ধ্যায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতা এবং পাপড়ি রেস্টুরেন্টের মালিক জুবায়ের আহমদ লিটনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে তাদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল বলে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতার নেতৃত্বে পাপড়ি রেস্টুরেন্টে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জুবায়ের আহমদ লিটনের পক্ষের আহতদের মধ্যে রয়েছেন তিনি নিজে, তার ছোট ভাই মিন্টু, সোয়েব, রাসেল এবং রেস্টুরেন্টের দুই নারী কর্মচারী’সহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ আহত হন। তবে আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতার পক্ষে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উভয় পক্ষের লোকজনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে জানতে চাইলে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ইট-পাটকেলে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫/২০ আহত হয়েছেন। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান।