বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

মেঘালয়ে ডাকাতির অভিযোগে পিটুনিতে এক বাংলাদেশির মৃত্যু, আটক ৬

  • প্রকাশের সময় : ১৩/০৮/২০২৫ ১০:১৮:৩৯
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের সংগৃহীত
Share
45

সুনামগঞ্জ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলার ডাকাতির অভিযোগে গণপিটুনির ঘটনায় একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। এসময় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও রাজ্য পুলিশ আরও ছয় বাংলাদেশিকে আটক করেছে।


আটককৃতদের একজন পুলিশ সদস্য বলে জানা গেছে।


ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ডাকাতি করতে আসা ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ওই দলের আরও একজনকে স্থানীয় গ্রামবাসী মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


একজন 'দুষ্কৃতকারী' এখনো পলাতক বলেও জানিয়েছে পুলিশ।


গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের এক কনস্টেবলের পরিচয়পত্র, তিনটি ওয়্যারলেস সেট, কিছু বিস্ফোরক, চাকু, কাঁটাতারের বেড়া কাটার যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে।


আইডি কার্ডটি মারফুর রহমান নামে পুলিশের সাবেক এক কনস্টেবলের বলে জানা গেছে।


তবে পুলিশের পরিচয়পত্রটি আসল কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের।


শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাত থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।


ভিডিও ফুটেজে স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আটক ব্যক্তিরা ওই গ্রামে ডাকাতি ও অপহরণের চেষ্টা চালান এসময় স্থানীয়রা তাদের মারধর করেন।


আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম, একই জেলার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল মারফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েম হোসেন এবং কুমিল্লার মেহফুজ রহমান।


সে দেশের পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একজন অভিযুক্ত দাবি করেছেন, তিনি তক্ষক শিকার করতে গিয়েছিলেন। অন্য তিনজন জানান, তারা দেশে রাজনৈতিক মামলার মুখোমুখি হওয়ায় আশ্রয়ের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ যাচাই করছে।


বিজিবি সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, তারা সীমান্ত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার ভারতের ভেতরে আটক হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, তারা ৬-৭ জনের একটি দল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের উদ্দেশ্য ‘অসৎ’ ছিল। বিজিবি ও বিএসএফ বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় করছে।


সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জাকির হোসেন জানান, আটক মারফুর রহমান এক সময় ঢাকায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কাজ করতেন, তবে পরে চাকরি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।


সিলেট প্রতিদিন / আরজে


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি