জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জেলা প্রশাসনের সম্মিলন অনুষ্ঠানে এক জুলাইযোদ্ধাকে মারধর করে বের করে দেয়াকে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আবুল আজরফ আহসান জাবুর।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে এনসিপির জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে বিষযটি নিশ্চিত করেছেন পদত্যাগকারী আহসান জাবুর। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের ভাই।
পদত্যাগপত্রে জাবুর লিখেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় দলের কার্যক্রমে সময় দিতে পারছি না। তাই স্বপদে বহাল থাকা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে পড়ে না। উক্ত কারণে আমি স্বেচ্ছায় দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।’
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের নিয়ে সম্মিলন অনুষ্ঠান আয়োজন করে সিলেট জেলা প্রশাসন।
এ অনুষ্ঠানে আহত জুলাইযোদ্ধা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য সেলিম আহমদের সাথে আরেক জুলাইযোদ্ধার কথা কাটাকাটির জেরে সেলিমের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এনসিপি নেতা আহসান জাবুর। এরপর তিনি সেলিম আহমদকে মারধর করে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন বিকেলে শিবগঞ্জ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল। পরদিন বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও এনসিপি নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে বসেন। তখন জাবুর ৫ আগস্টের ব্যবহারের জন্য সেলিম আহমদের কাছে ক্ষমা চাইলে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
পদত্যাগের বিষয়ে আবুল আজরফ আহসান জাবুর বলেন, আমি একা মানুষ। বাড়িতে থাকি। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে এখন পর্যন্ত এনসিপির কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। ব্যস্ততার কারণে দলকে সময় দিতে পারবো না। এজন্য পদত্যাগ করেছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।
এ বিষয়ে জানতে এনসিপির সিলেট জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন শাহানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।