বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন

সিলেটে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার, আাসামী নির্দোষ দাবি করে থানায় বাদী

  • প্রকাশের সময় : ০৭/০৮/২০২৫ ০৮:৫৭:১৯
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের ছবি সংগৃহিত
Share
71

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, গ্রেফতারের পর মামলার বাদীই থানায় উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানের নির্দোষ হওয়ার দাবি জানানোয় এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে।



কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদে তার নিজ কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যান শেলুকে গ্রেফতার করা হয়।


পুলিশ জানায়, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


তবে, গ্রেপ্তারের পরপরই জুড়ী থানায় নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী মো. তারেক মিয়া থানায় ছুটে আসেন। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলু এই হামলার ঘটনায় জড়িত নন এবং তাকে ভুলবশত গ্রেফতার করা হয়েছে। তারেক মামলার এজাহার থেকে চেয়ারম্যানের নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি। এ নিয়ে পুলিশ ও বাদীর মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়।


বাদী তারেক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, হামলার মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে, অথচ নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ এই মামলাকে বাণিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছে।

এদিকে, চেয়ারম্যান শেলুর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থক, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী থানায় জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাকে পুলিশ ভ্যানে করে মৌলভীবাজারে পাঠানোর সময় উত্তেজিত জনতা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই এবং ৩ ও ৪ আগস্ট জুড়ী শহরে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করে। ৩ আগস্ট শিক্ষার্থীদের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয় এবং হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এর জেরে ২৬ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী তারেক মিয়া বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে জুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবেই ইউপি চেয়ারম্যান শেলুকে গ্রেফতার দেখানো হয়।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন জানান, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।


সিলেট প্রতিদিন / এসএল


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি