সিলেটে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে মো. কাওছার হোসেন নামের একজনকে হত্যামামলায় গ্রেফতার ও নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় র্যাব পুলিশসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জের রণকেলী গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের পুত্র মো. কা্ওসার হোসেন বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুধবার (৩০ জুলাই) মামলার দরখাস্ত করেন।
মামলার আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে, কাওছারকে র্যাব-৯ সিলেটের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা কদমতলী এলাকার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করেন। ওই সময় গ্রেফতারি পরোয়ানায় কাওছারের নাম না থাকলেও, তাকে ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে নির্যাতন করা হয় । পরবর্তী সময়ে কাওছারকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং তারপর তাকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পরদিন ২০ জুন ২০২৫ তারিখে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ কাওছারকে আদালতে পাঠিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তবে, কাওছারের পরিবার যখন গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজপত্র পরীক্ষা করে, তখন তারা জানতে পারেন যে, ওই মামলায় কাওছারের নাম নেই। এমনকি, এজাহার, এফআইআর এবং চার্জশিটে তার নাম উল্লেখ ছিল না। এর ফলে, ভুক্তভোগীর পরিবার এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কাওছারের ভাই মাহবুব হোসেন আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুসের মাধ্যমে সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে আদালত অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে কাওছারকে জামিন প্রদান করেন।
জামিন পাওয়ার পর গত বুধবার (৩০ জুলাই) সিনিয়র স্পেশাল ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার দরখাস্ত করেন কাওসার হোসেন।মামলায় র্যাব পুলিশের ১৮ জনসহ ২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
কাওসার হোসেন জানান, মামলার আবেদনের পরদিন বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ থানার এএসআই ফিরোজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের মামলা প্রত্যাহার করতে চাপ প্রয়োগ করে।
এ ঘটনায় কাওছারের আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, আদালতে মামলার আবেদন(স্পেশাল পিটিশন মামলা নং ৭/২০২৫) করা হয়েছে এবং সমস্ত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। কাওছারের পরিবারের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের জন্য মামলা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে




প্রতিদিন ডেস্ক



