মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
সিলেটের তামাবিল-ডাউকি স্থলবন্দরে মতবিনিময় সভা

উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে মিশনগুলি কাজ করে যাচ্ছে : রিয়াজ হামিদুল্লাহ

  • প্রকাশের সময় : ২৯/০৭/২০২৫ ০৯:০৭:১৭
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের সিলেট প্রতিদিন
Share
23

 দিল্লী'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 


বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশন সহ আমাদের সবক'টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়ন অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে। 


২৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল-ডাউকি স্থলবন্দর কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন, তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধীজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার এসব কথা বলেন। 


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী। 


মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আসামের গুয়াহাটি'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার (মিশন প্রধান) মি.রুহুল আমিন সহ মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। 


মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৮ বিজিবি'র সহকারী পরিচালক মুয়ীদ আহমদ, তামাবিল কাস্টমস সহকারি কমিশনার রাসেল আহমদ, সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা নুর আলম সিদ্দিক, তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ (ইনচার্জ) শামীম আহমদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম। 


প্রধান অতিথি রিয়াজ হামিদুল্লাহ আরও বলেন, আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য,পযর্টন শিল্পের উন্নয়ন এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত মিশনগুলি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মানুষের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। 


অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা তামাবিল স্থলবন্দেরর বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। পাথর আমদানিতে কারভাস বৃদ্ধি, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নাগরিকদের জন্য ভারতীয় বাণিজ্য ভিসা চালু করা সহ বিভিন্ন কৃষি পন্য উত্তর-পূর্ব রাজ্য গুলিতে রপ্তানীর বিষয়ে হাই কমিশনের সহযোগিতা কামনা করা হয়। 


তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ও স্বাভাবিক রাখতে এবং সরকারী রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তামাবিল স্থলবন্দরের অবকাঠােমাগত উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের আমদানী-রপ্তানীকৃত মালামাল মজুদ রাখা ও পরিবহন সুবিধায় অবকাঠােমাগত উন্নয়ন করা হয়েছে।


ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা ভারত মিশনের সহায়তা কামনা করেন। 


সিলেটের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ এবং ভারতীয় পর্যটক আগমনে কাজ করা প্রয়োজন। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসাম সহ সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলির সাথে রপ্তানি মূখি ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আহবান করা হয়। 


সভায় তামাবিল পাথর আমদানীকারক গ্রুপের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আব্দুল মান্নান, ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, ওমর ফারুক, আব্দুল করিম রাসেল, ইসমাইল হোসেন, মিছবাউল আম্বিয়া, মাফিজুল ইসলাম ও সিলেট কয়লা আমদানীকারক সমিতির সদস্য সৈয়দ শামীম আহমদ। এছাড়া তামাবিল স্থলবন্দরের অন্যান্য স্টেক হোল্ডার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


বৈঠক শেষ তিনি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত তামাবিল বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন। বিকেল ৪ টায় দিল্লীর হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ তিনি ডাউকি স্থলবন্দরে ভারতীয় মেঘালয়ের ব্যবসায়ীদের সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।


সিলেট প্রতিদিন / এসএল


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি