শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য

৬ মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর ২৫৮ সহিংসতার ঘটনা

  • প্রকাশের সময় : ১০/০৭/২০২৫ ১১:১৩:৫০
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের ছবি সংগৃহিত
Share
22

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ২৫৮টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।


বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ এ তথ্য উপস্থাপন করেন।


লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সংখ্যালঘু নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে ২৭টি। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২০টি। উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৫৯টি; কথিত ধর্মঅবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ২১টি; বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ২৭টি; বাড়িঘর, জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা ১২টি, শারীরিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক পদত্যাগের ৪টি ঘটনা এ সময়ে ঘটেছে। এ সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও নির্যাতনের ১২টি ঘটনা, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে বাধা, অপহরণের ১৬টি ঘটনা ঘটেছে।



সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও। উপস্থিত ছিলেন অন্যতম সভাপতি প্রফেসর ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, জে এল ভৌমিক, রঞ্জন কর্মকার, সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চাভুক্ত বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ঋষি পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাস।


তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কিত ঘটনাগুলো কোনো গুরুত্ব না দিয়ে ঐক্য পরিষদের উত্থাপিত রিপোর্ট মিথ্যা, অতিরঞ্জিত ও বানোয়াট বলে অস্বীকার করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা শুধু ফৌজদারী অপরাধই নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধেও অপরাধ এবং তা এখনো চলমান।’


ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ একেবারেই লক্ষণীয় নয়। এ পরিস্থিতি একদিকে সন্ত্রাসীদের এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে উৎসাহিত করছে, অপরদিকে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের মানবাধিকার পাওয়া এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’


রাষ্ট্র সংস্কারের কার্যক্রমে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারত্বের বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিরা।


তারা বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান বৈষম্য ও নিপীড়নকে চ্যালেঞ্জ না করে তা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।’


সিলেট প্রতিদিন / Sl


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি