শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

৮ বছর পর নি/র্যা/ত/নে/র অভিযোগে মা/ম/লা করলেন শিবির নেতা

  • প্রকাশের সময় : ১০/০২/২০২৫ ১২:৫২:৫০
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
46

২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র শিবির নেতা মো. নাজমুল বাশারকে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করেন তৎকালীন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ৮ বছর পর তিনি এই ঘটনায় মামলা করেছেন।


মামলার আসামিরা হলেন,বরিকুল ইসলাম বাঁধন, সজিব হোসেন, সানাউল্লাহ সূর্য, আবু জাফর সোহাগ, সবুজ রেজা, রাকিব হাসান, নাহিদ উকিল জুয়েল, মুনতাসির বিল্লাহ, আল আমিন, শাকিল, আসিফ আলম, রাইয়ান কামাল, আব্দুল কাদের, মৃধা মো. জাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান পলাশ, আল আমিন, আরিফুল ইসলাম, শেখ জামি, ইরফান চৌধুরী, তানভির আহমেদ শাওন, মুসা, ফয়সাল, রবিউল, আসিফ, তুষার, হাসান। এজাহারে উল্লেখ করা আসামিরা বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা-কর্মী। 


মামলার এজাহারে নাজমুল বাশার উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ৯ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের তৎকালীন হল শাখা সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনের নেতৃত্বে কয়েকদফা বঙ্গবন্ধু হলের ২২২ নম্বর রুমে ও ৩১৭ নম্বর রুমে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের সময় দুই হাত বেঁধে ও চোখ বেঁধে কিল ঘুষি মারাসহ রড স্টাম্প দিয়ে পেটানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও হাতের নখ উপড়ে ফেলার জন্য প্লাস দিয়ে নখ টানা হয় ও হাতে প্লাস দিয়ে বাড়ি দিয়ে হাত থেতলে দেয়া হয়।


মামলার এজাহারে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, 'আমার দেহ নিস্তেজ হয়ে পরলে আসামিরা আমাকে মৃত মনে করে আনুমানিক রাত ১২.৩০ ঘটিকার দিকে হলের গেটে ফেলে রাখে। নির্যাতনের বিষয়ে হলের তৎকালীন প্রভোস্ট মফিজুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ অবগত থাকলেও আমাকে আসামিীদর নির্যাতন থেকে বাঁচানোর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। 


এ বিষয়ে বাদী নাজমুল বাশার বলেন, আমি কেবল ন্যায়বিচার চাই,আর কিছু না আমার সাথে হওয়া অন্যায় যেন ঢাবিতে আর দ্বিতীয় বার না হয় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেই আমার এই মামলা করা। 


এ বিষয়ে তৎকালীন প্রভোস্ট প্রফেসর মফিজুর রহমান ও প্রক্টর প্রফেসর ড. এম এ আমজাদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 


সিলেট প্রতিদিন / এমএম


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি