সাজলু লস্কর :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণের হিসাবে এটি বিশ্বের ২য় বৃহত্তম দেশ। আকর্ষণীয় অবকাঠামো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলির এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। আমার মত অনেকেই এই শহরগুলোর বিচিত্র প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যায় অনায়াস। আমেরিকার মানুষ প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে না। তারা প্রকৃতির নানা প্রতিকূলতাকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয়।
২০২২ সালে যখন আমি এসেছিলাম তখন তুষারপাত ছিলো না, ঘুরাঘুরির সময়ও ছওলো একেবারে কম, কাজের ব্যস্ততার জন্য মাত্র ২ সপ্তাহ থেকে চলে যাই প্রিয় জন্মভূমিতে। আর এবার একটু লম্বা সময় হাতে নিয়ে বেরিয়েছি ইচ্ছা আছে কয়েকটি দেশ ঘুরবো। ইতিমধ্যে পবিত্র নগরী মক্কা সফর করে বর্তমান এমেরিকা অবস্থান করছি। এমেরিকার কয়েকটি শহরে ঘুরেছি। এবার যাবার পালা। নতুন গন্তব্যে সফর শুরু করবো।
কোনটা সড়ক আর কোনটা ফুটপাত,চারিকে শুধু বরফ।
মোটামুটি ১০ সপ্তাহের উপরে থাকার কারনে অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পেরেছি, অদেখা অনেক কিছুই দেখেছি।যদিও অনেক আগেই আমার ফেরার কথা ছিলো। সবকিছু তুলে ধরবো আমার লেখা ' বিলেতের ডায়রী'তে।ইতিমধ্যে লেখার কাজও শুরু করেছি। তবে এই এই সফরে এমেরিকায় বরফ পড়ার দৃশ্য দেখে আমি অবাক আরও অবাক হয়েছি এই দেশের মানুষের জনজীবন দেখে। তুষারপাত তো এখানে রীতিমতো এক ধরনের উৎসবের নাম। স্নো পড়ার দিন মানুষ এখানে উচ্ছ্বাস করে ঘর থেকে বের হয়। বিশেষ করে শিশুরা তুষার পড়ার দিনটাকে খুব আনন্দ নিয়ে উপভোগ করে। তারা ‘স্নো-ম্যান’সহ নানা ধরনের বরফের ভাস্কর্য বানায়।
২০০৫ -সালে আমি লন্ডনে তুষারপাত দেখিছিলাম তবে এবার এমেরিকার তুষারপাত দেখার অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন। সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন ঘরের বাহিরে বের হলাম দেখি সবকিছু সাদা,কোন সড়ক আর কোনটা ফুটপাত বা মাঠ বুজার কোন উপায় নাই।তার মধ্যেও থেমে নেই এমেরিকার মানুষের জনজীবন।এখন সমাজ ব্যবস্থাও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক উন্নত।
একটি স্ট্রেইটে কয়েকশ ঘরে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে কিন্তু কেউ কাউকে ডিস্টার্ব করে না।পাশের ঘরে কে থাকে কি করে কেউ জানে না বা জানার আগ্রহও প্রকাশ করে না।সবাই যার যার মত করে ব্যস্ত।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
এমেরিকা দেশটির মতো এখানকার মানুষগুলোও অনেক সুন্দর। আর সেই সুন্দরের প্রকাশ করে তারা ঘটান নানানভাবে।চারটি ঋতুর দেশ আমেরিকা। শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম আর হেমন্ত---কালের এই সময়গুলোকে চাইলেও উপেক্ষা করা যায় না। প্রতিটি ঋতুর রুপ, রস, গন্ধ আমেজ এত ভিন্ন যে ধরত্রী অশেষ সর্বত্রই। বার বার ফিরে আসতে চাই এই ধরত্রীর বুকে।ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার অন্যত্র যাবার পালা, এমেরিকায় আমার বন্ধু - স্বজনের আথিতেয়তা ভুলার নয়, আপনাদের জন্য মন থেকে দেয়া থাকলো, আবার দেখা হবে।
লেখক : সম্পাদক সিলেট প্রতিদিন।
www.sylhetprotidin24.com