আয়শা খাতুনের (নিনা) পরিপূর্ণ বিদায়।তিনি আমাদের সবার বুবু।তাঁর জীবনটা এখন কথায় বলা যায় পরিপূর্ণ জীবন।তিনি যে একজন সুগৃহিনী ছিলেন এতে কোন সন্দেহ নাই। আমার সাথে তাঁর দেখা উনার জীবনের পড়ন্ত বেলায়। তারপরও বলবো যা দেখেছি, যতটুকু বুঝেছি উনার জীবনে খুবই স্বচ্ছতা ছিল ।
বুবুর সাংসারিক জীবনও এতো সুন্দর ছিল যে, তাঁর আটটি মেয়েকে সুন্দরভাবে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন।তাদের বিয়ে দিয়ে অনেক নাতি-নাতনী রেখে গেছেন। ভাই-বোনদের অনেক আদর যত্ন করতেন।সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলছেন।
নীনা বুবুর অনেক বয়স, ৯৩ বছরে তিনি চলে গেলেন। এই বয়সেও অনেক বই পড়তেন, কিছুদিন পরপরই কোরআন শরীফ পাঠ শেষ করতেন (কোরআন খতম দিতেন)।
বুবু সম্বন্ধে অনাবিল ভাষায় বলা যায়, তিনি সুশ্রী সুন্দরী,সহজ সরল,আন্তরিকভাবে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন । বুবু ছিলেন রুপের সম্রাজ্ঞী ও ভালবাসার প্রতিক।অফুরন্ত গুণ আর জ্ঞানের আলো দিশারী ছিলেন নীনা বুবু।
আজ বুবুকে শেষ বিদায় দিতে গিয়ে বুকের ভিতরে ব্যথা অনুভব করছিলাম। জানি না কেন এমন হচ্ছিল! আমি তাঁর যে খুব কাছে খুব বেশি ছিলাম তা না, কিন্তু তাঁর অল্প কথায় হয় তো বেশি কাছের, বেশি আপন হয়ে গিয়েছিলাম ।
আমরা সবাই যখন গাড়ির বহর করে যাচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিল বিয়ে যাত্রা! আসলে বিয়ে আর শবযাত্রা-দুইটাই যাত্রা!! কারো জীবনের শুরু, কারো জীবনের শেষ।বুবু জীবনের আটটি ফুলের বাগান রেখে গেছেন, তারাই তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ করবে । আমীন।