মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে পায়ুপথ দিয়ে পেটে কুঁচিয়া মাছ ঢুকে যাওয়া জেলে সম্রা মুন্ডার অস্ত্রোপচার করার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। লাগছে না অক্সিজেন সাপোর্ট।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে হাসপাতালের একদল চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তাদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় সম্রা মুন্ডাকে।
এ বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিকের পথে। তবে আরো কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হবে। তবে দুই মাস পর তার আরও একটি অস্ত্রোপচার লাগবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য-সম্রা মুন্ডা (৫৫) রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত শনিবার ২৩ মার্চ সম্রা মুন্ডা স্থানীয় হাইল হাওরে মাছ ধরতে গেলে হটাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেন নি তিনি। পরে সম্রা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়।
রোববার (২৪মার্চ) স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার কথা শুনে এক্সের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সাথে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া মাছটি বের করেন।