রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সিলেটে আইনজীবী হ'ত্যা, ছেলেসহ ৩ আ'সামির মৃ'ত্যুদ'ণ্ড

  • প্রকাশের সময় : ০৬/০৫/২০২৫ ০৪:১০:০১
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের ছবি সংগৃহিত
Share
143

সিলেটে চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম হত্যা  মামলার রায় দিয়েছে আদালত।রায়ে নিহতের ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের ৩ বছর কারাদণ্ড এবং আরেক আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।


মঙ্গলবার (০৬ মে) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন। 


রায়ের বিষয়টি সিলেট প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন অত্র আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর( পিপি) অ্যাডভোকেট আনসারুজ্জামান।


রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্য ব্যক্তিরা হলেন-নগরের মীরবক্সটুলার আজাদি ১১০ বাসার বাসিন্দা মাসউদ আহমদ চৌধুরী ওরফে মুন্না। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহত অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামের ছোট ছেলে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে জাহের আলী ও সুনামগঞ্জের ছাতক থানার রাউলি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আনসার আহমদ।রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা,অনাদায়ে  ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


মামলার ওপর আসামি বোরহান উদ্দিনকে ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।একই মামলার অপর আসামি ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করা হয়। 


মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে অনুমান সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। হত্যার পর রাতেই মরদেহ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি এলাকার সুরমা নদীতে নিয়ে ফেলা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যায় নিহতের বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদি হয়ে সহোদর মাসউদ আহমদ চৌধুরী মুন্নাসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) খায়রুল ফজল।পরবর্তীতে মামলা র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব এ স্থানাস্তর হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইদ্রিছ আলী ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র (নং-৯১) দায়ের করেন।  


এই মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি বুরহান উদ্দিন ও আনসার আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।


উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ মে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার চার্জ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন।


সিলেট প্রতিদিন / Sl


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি