সিলেটের বিশ্বনাথে শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল হতে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা। কিন্তু হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রতে নিয়ম বহির্ভুত কাজ করে যাচ্ছেন একই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম ফকির। অবৈধভাবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ও পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অজান্তে নিজের বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রতে নিজের ছেলেকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
পরীক্ষার্থী ছেলের নাম মাহাতির মোহাম্মদ। রেজিস্ট্রেশন নং- ২২১৬১২৯১৯৭। রোল নং- ৩১২১৯০। সে সৎপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম না থাকলেও নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নিজের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রতে রয়েছে অবাদ বিচরণ। পরীক্ষার শুরুর আগে প্রশ্নপত্র গণনায়ও তিনি উপস্থিত থাকেন।
এনিয়ে অন্য স্কুলের অনেক শিক্ষকদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে চলছে নানা গুঞ্জন। প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও এসকল শিক্ষকদের মধ্যে চরম হাতাশা আর ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানতে চাইলে রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মো: আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি নিয়ম বহির্ভূত।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার কামরুল ইসলাম ও কেন্দ্রের সচিব এবং জনকল্যান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুরহান উদ্দিন অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, আজকের পর থেকে পরীক্ষা চলমান অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম ফকির’কে পরীক্ষা কেন্দ্রতে না আসার জন্য বারন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায় বলেন, তিনি বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ওই শিক্ষককে সাথে সাথে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
খায়রুল আলম ফকির তার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রের সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে সহযোগীতা করে আমি চলে এসেছি।