সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন, ‘এ দেশের মালিক হলো দেশের জনগণ। সেই মালিকানা দেশের মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াই হলো আমাদের দায়িত্ব। রাষ্ট্র হবে সকলের এবং সবাই রাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব উপভোগ করবে। সেই অংশীদারিত্ব পৌছে দেওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি সিলেটের সকল গণমানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে সবসময় প্রতিবাদী ও আন্দোলনমুখী থাকার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে জুলাই এবং আগস্টে, সেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে। নতুন বাংলাদেশের মালিকানা হবে সকল মানুষের, সর্বসাধারণের।’
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সিলেট সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালী জাতি বা বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক অবদান যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখি, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় শান্তিপ্রিয় ছিলো, তবে সংগ্রামী ছিলো। তারা সত্যপন্থী ছিলো এবং সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলো। যে কারণে কোনো অন্যায়কারী, সে শাসক হোক, কোনো গোষ্ঠী হোক বা যে কোনো পরিচয়ে আসুক না কেন, বাঙালী জাতি তার বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিলো।
জুলাই-আগস্টে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো একটি পরিবর্তনের জন্য। এখন ঐক্যবদ্ধ হলো নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। আজকে বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে সার্বজনীন আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখী সঙ্গীতের মাধ্যমে যে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলাম, শোভাযাত্রার মাধ্যমে এটিকে আমরা আরো ছড়িয়ে দেব। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় যে কর্মসূচিগুলো আছে, সেগুলো পালনের মাধ্যমে আমরা সিলেটের বর্ষবরণকে দেশের ও বিশ্বের সকল মানুষের কাছে পৌছে দেব। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখী সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ’ গাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা। এতে অংশগ্রহণ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর সুবিদবাজারস্থ ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সচিব মো. আশিক নূর, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবর্ণা সরকার, প্রধান এসেসর মো. আব্দুল বাছিত, ট্যাক্সেশন অফিসার জামিলুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তুতিউর রহমানসহ সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।