সিলেট সীমান্তে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ইয়াবাসহ মাদকসম্রাট আসলাম হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করেছে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি)। এসময় অবৈধভাবে বহনকারী সিএনজি (অটোরিকশা) আটক করা হয়।
বুধবার ভোর সাড়ে ৭ টার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার গহেলাপুর প্রথম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসলাম হোসেন উপজেলার দুবাগ এলাকার গজুকাটা গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এর অধীনস্থ গজুকাটা বিওপি কমান্ডার এর নেতৃত্বে বিয়ানীবাজার থানার গহেলাপুর প্রথম ব্রিজ (জামালের বাড়ীর সামনে) নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৫জন যাত্রীবহনকারী সিএনজি (অটোরিকশা)'র গতিবিধি সন্দেহ হয়। এসময় সিএনজিকে থামানোর সিগন্যাল দিলে তারা গাড়ি রেখে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া করে আসলাম হোসেনকে গ্রেফতার করে বিজিবি।
পরে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির পকেট ও সিএনজি তল্লাশী করে ৮১ টি পলিথিনের প্যাকেট থেকে ৯৩৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা।
এদিকে বিজিবির ধাওয়া পেয়ে আরও ৪জন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। তারা হলেন, দুবাগ এলাকার গজুকাটা গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলম হোসেন (৫০), একই গ্রামের মৃত আইনুল হকের মোঃ আব্দুস সামাদ (৪৫), মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫) ও মৃত সমের আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বটলা (৫০)।
বিজিবি জানায়, আটককৃত ব্যক্তি দীর্ঘ দিন যাবৎ ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এ ছাড়াও পলাতক অপর আসামী তার ভাই মোঃ আলম হোসেন ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে বিপুল অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এবং তারা এলাকায় ইয়াবা সম্রাট/ডন হিসেবে পরিচিত। বিয়ানীবাজার উপজেলার মাদক সম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
এছাড়াও পলাতক আসামী আব্দুস সামাদ এবং আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ভারতের গুপ্তচর হয়ে বিএসএফ এর কাছে তথ্য পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মেহেদী হাসান, পিপিএম বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবাহ রোধে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমাদের নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বিজিবি সীমান্ত পাহারার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে, যাতে করে সীমান্তে বিজিবি জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে থাকতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষের সহযোগীতাকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করি এবং সবাইকে আহ্বান জানাই, মাদক চোরাচালান বা অন্য যে কোন অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা দ্রুত বিজিবিকে অবহিত করতে।
বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিজিবির এই কার্যক্রম সীমান্ত নিরাপত্তা এবং দেশের মাদকবিরোধী সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।