সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে বাঁশ কাটা নিয়ে সালেহা বেগম নামের ষাটোর্ধ এক বিধবাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করেছে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদির।
শনিবার (৮জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে পেকপাড়া গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম নিজের জায়গা থেকে বাঁশ কাটতে গেলে একই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির ও তার ছেলে খোরশেদ মিয়া তাদের বাড়ি ঘরে হামলা করে। এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় বিধবা সালেহা বেগমের ওপর উপর্যপরী কিলগুঁতো দিতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বেধড়ক মারধরে সালেহা বেগম আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান। এ ঘটনায় আহত পরিবারের পক্ষে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহত সালেহা বেগম বলেন, কাদির আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি। তার ছেলেরা চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। বিগত সরকারের আমলে তারা এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সীমান্ত এলাকার মানুষ। এখনো তাদের আধিপত্য থেমে নেই। বর্তমানেও তারা সীমান্তের নিরীহ পরিবারের জমিজমা জবর দখল করতে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে আসছে।
সৈয়দ ইব্রাহিম বলেন, পেকপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদির ও তাদের পুত্রেরা সীমান্ত এলাকায় তারা প্রভাবশালী। তারা পূর্ব থেকেই চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে সবই তারা সমাধান করে ফেলে তারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। তাদের কাছে সমাজবাসীও জিম্মি। তারা আমাদের বসত বাড়ি ও জমিজমা জবর দখল করতে চায়। আমরা এদের কবল থেকে নিরাপত্তা ও বয়োবৃদ্ধ মাক মারধরের বিচার চাই।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক বলেছেন, আহত পরিবার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।