সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বছরের পর বছর পড়ে থাকা অনাবাদি পতিত ফসলি জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভুট্টা চাষ করে সফলতা পাওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন ভুট্টা চাষে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। বিগত কয়েকবছর ভালো ফলন ও ক্রমাগত ফসলের দাম বৃদ্ধিতে ভুট্টা চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন শান্তিগঞ্জের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর শান্তিগঞ্জে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৬ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে। গতবছর ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও এবছর ৪ হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে। এতে ১৪০ মেট্রিকটন ভূট্টার উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। সরকারি প্রণোদনার আওতায় এ বছর ২০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শান্তিগঞ্জ উপজেলার পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ও ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্টেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর আওতায় কৃষকদের উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে ভূট্টা চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
উপজেলার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, এবছর ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়েছে। আগামী মৌসুমে আমি বড় পরিসরে চাষ করতে চাই।’ কৃষি অফিসের পরামর্শে ভুট্টা চাষ করে সফলতা পাওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন ভুট্টা চাষে।
আইস মিয়া নামের আরেক কৃষক বলেন, এলাকার যেসব জমি পূর্বে অনাবাদি থাকতো সেসব জমিতে এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, ‘অনাবাদি জমিতে ভুট্টা চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় দিনদিন ভুট্টা চাষ বাড়ছে৷ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে৷