হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জননী জরিনা আক্তার (৩২) নামে স্বামী পরিত্যাক্তা তিন সন্তানের এক জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত দেড়টায় উপজেলা সদরের দক্ষিণ-পশ্চিম ইউপির অন্তর্গত যাত্রাপাশা গ্রামের কোদাইল্লা বাড়ির মোঃ আজিজুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জরিনা আক্তার যাত্রাপাশা গ্রামের শেখের হাটি গ্রামের মৃত শাহিদুল্লাহ এর মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জরিনা আক্তার পাঁচ থেকে সাত বছর পূর্বে তিন সন্তানের পিতাকে ডিভোস দিয়ে চলে আসে। পরে জরিনা আক্তার বিদেশ চলে যায়। বিদেশে কিছুদিন থাকার পর দেশে চলে আসে। তার পৈতৃক ভিটায় থাকার জায়গা না থাকায় মোঃ আজিজুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসায় তিন সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছে। জরিনা ঘরের চালের বর্গার সাথে গায়ের ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার সন্তানরা চিৎকার করলে বাড়ির আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে সন্তানরা ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর লোকজন মৃত দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে আত্মীয় স্বজনরা থানায় যোগাযোগ করলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সকাল দশটায় লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। লোকমুখে শুনা যায় মোবাইল ফোনে সম্পর্ক করে চট্টগ্রাম/কুমিল্লার বাসিন্দা পনির নামের সৌদি প্রবাসী একটি ছেলের সাথে তার বিবাহ হয়।
বানিয়াচং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আঃ রহিম জানান, খবর পেয়ে জরিনা আক্তারকে মোঃ আজিজুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসায় ঘরের চালের কাঠের বর্গায় ওড়না দিয়ে পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। ছোট সন্তানের বয়স চার বছর। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। নিহতের পরিবার ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার চেষ্টা করছে।