আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (২৬ জানুয়ারি) নগরীর সাপ্লাই এলাকায় রিয়াজ উল্লাহ এতিমখানায় দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মধ্যে ফল বিতরণ করা হয়।
এসময় সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ক্রিকেটসহ দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে আরাফাত রহমান কোকোর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকো অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচারবিমুখ ও নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন সাধারণ মানুষের মতো সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। কোকো রাজনীতির সাথে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয়, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।
তিনি আরও বলেন, তিনি সফল ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকোর অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নে তিনি যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজকে যে ক্রিকেট আমরা দেখতে পাই, সেই ক্রিকেটের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।
এই দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন রিয়াজ উল্লাহ এতিমখানা মাওলানা প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাবলু আহমেদ, আব্দুর কাদির সমসু, জিলহাদ উদ্দীন, রুমেল আহমেদ, আবদুল্লাহ শফি সাহেদ, আবুল মনসুর কুটি, অপু কুরেশী, সুমন মজুমদার, রুহেল উদ্দিন, রেজাউল হাসান মাসুম, ফরহাদ আহমেদ, ইমন চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম রাজীব, সামাদ সাদ্দাম, আরমান আহমেদ মুন্না, রুবেল আহমেদ, মাইদুল ইসলাম সাকিল প্রমুখ।