সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের উত্তর আলমপুর লম্বাহাটি গ্রামে রাস্তায় টয়লেটের ট্যাংকি নির্মাণের অভিযোগটির তদন্ত প্রায় শেষের দিকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে।
তারা অন্তত দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন এসআই সুভাষ।
সর্বশেষ, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তারা যতদ্রুত সম্ভব আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন ওসি ( ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত নভেম্বরে আলমপুর লম্বাহাটি গ্রামের প্রায় ৪০ পরিবারের দু'শো বছরের পুরানো রাস্তায় টয়লেটের ট্যাংকির নির্মাণ কাজ শুরু করেন একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন ও তার পক্ষের লোকজন। এতে গ্রামের প্রায় ৪০ পরিবারের সদস্যের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অমানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তারা।
ভুক্তভোগীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিলেটের পুলিশ সুপারসহ গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাছাড়া গ্রামবাসি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূমি কর্মকর্তাকে প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব দেন। পাশাপাশি বাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনকে দিয়ে বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তিরও চেষ্টা করেন। তবে কোনো সমাধান হয়নি।
গ্রামবাসি রাস্তাটি ইজমালি বা সরকারি বলে দাবি করলেও মিনহাজ ও তার পক্ষের লোকজন তাদের নিজের সম্পত্তি দাবি করে ট্যাংকির নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান।
এরমধ্যে অবশ্য গত ৭ ডিসেম্বর উভয়পক্ষ সুধিজনের উপস্থিতিতে একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন।
মুচলেকায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসির পক্ষে স্বাক্ষর করেন মছকন আলী, জাকির হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, সফিক উদ্দিন, জইন উদ্দিন প্রমুখ।
অভিযুক্তদের পক্ষে স্বাক্ষরকারী মিনহাজ উদ্দিন ও সাকের হাসান ট্যাংকি অপসারণ করে চলাচলের জন্য রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও পরে তারা আবার আদালতের শরনাপন্ন হন।
আদালত স্থিতাবস্থা জারি করে তদন্তের দায়িত্ব দেন গোলাপগঞ্জ থানা পুলিকে। তাদের পক্ষে প্রথম দফায় জানুয়ারির শুরুর দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসআই বিভাষ।
দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ওসি মো. মনিরুজ্জামান মোল্লাসহ একদল পুলিশ।
তদন্তে কি পেলেন বা কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে জানতে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। এটা আসলে সরকারি রাস্তা নয়। যাদের ভূমি তারা বিকল্প একটা ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবো।
এ ব্যাপারে বাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি শুরু থেকেই আমি আপোষে মিমাংসার চেষ্টা করছি। এখনো সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গোলাপগঞ্জ থানার ওসি সাহেবও আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।