সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় রিসোর্টকান্ডের পর আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযানে নেমেছে মহানগর পুলিশ। অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে একদিনে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩জন যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরস্থ ঢাকা প্যালেস আবাসিক হোটেল থেকে ৭ যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিলেটের শাহপরাণ (রহ:) থানার দত্তগ্রাম এলাকার সেলিম আহমদের ছেলে জিবান আহমদ (২২), একই থানার বেলগ্রাম এলাকার ইমন চৌধুরীর মেয়ে এনি বেগম (১৯), মুরাদপুর এলাকার সাহাব উদ্দিনের মেয়ে নিপা আক্তার তানিয়া (১৯), কুলাউড়া থানার নোয়াগাঁও এলাকার আজর আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), গোলাপগঞ্জ থানার বাঘরখলা এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম পাপ্পু (২৪), ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার টানপাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (৪৫),বালাগঞ্জ থানার মইশাসি এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে মেহের জাবিন নামিয়া (১৯)।
এর আগে আম্বরখানা হোটেল নুরানী ও হোটেল আলীবাবা আবাসিক হোটেল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার পীরেরগাঁও এলাকার আবদুল খালিকের ছেলে মো.ফয়ছল আহমদ (২২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার কুসারায় গ্রামের কাপ্তান মিয়ার ছেলে ওয়াহিদুল হাসান (৩২), তাহিরপুর থানার শারপীন টিলা এলাকার মৃত আব্দুল করিমের মেয়ে মোছা.শাপলা বেগম (২৩), কুমিল্লা জেলার বড়ুরা থানার লগ্নসার গ্রামের আবিদ আলীর মেয়ে মোছা.শাহীনা আক্তার সীমা (৩৩)।
একইদিন রাত পৌণে ৮টার দিকে সিলেট নগরীর রাজারগলিস্থ হোটেল নিউ জালালী আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২ যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেটের গোয়াইনঘাটের পাইকরাজ গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে সালেহ আহমদ (২৩) ও নাসিমা (৪৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নন এফআইআর প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য-গত ১৯ জানুয়ারি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে কাজী ডেকে এনে ৮জনের বিয়ে দেয়া হয় ও ৮জনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।