সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের বিদেশ ফেরত মনির হোসেন (৩০) খুনের ঘটনায় শহিবুর রহমান (৩২) নামের আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে তাকে আটক করা হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় চারজনকে আটক করা হলো। সোমবার ভোরে আটক হওয়া শহিবুর রহমান শিমুলবাক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামের জাহের আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রবাস ফেরত মনিরকে কেবল পরকীয়ার জেরেই না কী জমিজমা সংক্রান্তও বিরোধের বিষয়ও আছে খতিয়ে দেখছে তারা। তবে পরকিয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত বলেছেন ওসি আকরাম আলী।
ওসি আকরাম আলী বললেন, রিলেশনশিপ প্রতিষ্ঠিত, পরকীয়া আছে তবে এখানে জমি-জমা সংক্রান্তও কিছু বিষয় আছে। দুইটা গ্রুপ আবার একই। এগুলা সবই এনালাইসিস এর মাধ্যমে আসতেছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিষয়টি এখন আমরা পাই নি। যেহেতু ঘটনার প্রত্যক্ষ কোন সাক্ষী নেই, এজন্যই আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকেই রেখেছি। এখন এদের স্বীকৃতির উপরেই অনেকটা ডিপেন্ড করছে। ফাইনাল সিদ্ধান্তে যেতে পারি নি আমরা, চেষ্টা করছি।
আটককৃতদের কিভাবে কোর্টে তোলা হবে এটি এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাদীর এজহারের পরেই বুঝা যাবে। কীভাবে দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে আজ সোমবার কোর্টে দিলেও কিছুটা বিলম্ব হবে।
প্রসঙ্গত, গেলো রবিবার বেলা ১১টায় শান্তিগঞ্জের শিমুলবাক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন বড়লেইট্টা বিলের পাশে বোরো জমি থেকে বিদেশ ফেরত মনির হোসেনরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবাবের ধারণা, তার স্ত্রী জনি’র পরকীয়ার জেরে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন মনির হোসেন। এ ঘটনায় ওই দিনেই নিহতের স্ত্রী জনি (২৬), প্রধান অভিযুক্ত রাজন মিয়া (২৪) ও তার ভাই হৃদয় মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।