অন্তবর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে সুগঠিত করতে হলে কয়েকজন সুগঠিত মানুষ লাগে। কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটকে এত উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করার জন্য এ ধরনের নিবেদিত প্রাণ নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকগুলো আলোকিত উদ্যোগী প্রাণ মানুষের সেবা করার মন-মানসিকতা নিয়ে কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটে মিলিত হয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় এ প্রতিষ্ঠান সেবায় রোল মডেল হয়ে উঠবে। দেশের মানুষের মধ্যে ভালো উদাহরণগুলোকে রীতিতে পরিণত করতে হবে। তাহলে সহজেই বাংলাদেশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) নগরীর তেমুখী বাদাঘাট সংলগ্ন নাজিরের গাঁওয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) সিলেটের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তভ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দায়িত্বের জায়গা থেকে এ অসাধারণ কাজের সাথে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হওয়া একটা বড় পাওয়া উল্লেখ করে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে ভালো কাজের সাথে সংযুক্ত হতে চাইলেও সহজে হওয়া যায় না।
উপদেষ্টা বলেন, সরলরেখায় শুধু পিপিপি হলেই সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের মতো চমৎকার কিছু ঘটবে এমনটি কিন্তু নয়। কয়েককজন অসাধারণ মানুষের তীব্র ইচ্ছার কারণে এ হাসপাতালটি বাস্তব চিত্রটা পেয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস এক ভিডিও বার্তায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সাফল্য কামনা করেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১০তলা ভবনের কিডনি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করলো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদাকে চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-উর রশিদ, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান-বীর উত্তম, অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল এম এ সালাম (অব) প্রমুখ।