হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে গ্রেফতার তিন ডাকাতের নামে ৪১টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। আইনের ফাঁক গলিয়ে ছাড়া পেয়ে তারা সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় রোড ডাকাতি করতো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ মামলাগুলো হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় বলে জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে তিনি এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার ডাকাতরা হলেন- সদর উপজেলার সুঘর গ্রামের কদ্দুছ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩২), সানাবই গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে রহমত আলী (৩২) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ওলিপুর গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (৩৪)।
ফারুকের বিরুদ্ধে ১৯টি, রহমত আলীর বিরুদ্ধে ৫টি ও স্বপনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৭টি ধারালো অস্ত্র ও ২টি মোটরসাইকেলসহ এ তিনজনসহ চার ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ৪১টি মামলায় ওই তিন ডাকাতকে কয়েকবার গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু আইনের ফাঁক গলিয়ে তারা জামিনে মুক্তি পায়। জামিন নিয়েছে উচ্চ আদালত থেকেও। পরে বি-বাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ থেকে রোডে ডাকাতি করে। দেশের নানা স্থান থেকে এসে অপরাধীরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে ওসি দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, দস্যুরা কারাগারে থাকলে জনতা-পুলিশ উভয়েই শান্তিতে থাকে। পুলিশ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠালেও আদালতে আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে বের হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দস্যুদের জামিনের ব্যাপারে আদালতের কঠোরতা প্রয়োজন।