সিলেটের বিশ্বনাথে খাজাঞ্চি নদীর কয়েক হাজার বর্গফুট নদীর মাটি বিক্রি করা হলে তিন দিনেও লুটপাটকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এনিয়ে সর্বত্র চলছে নানা গুঞ্জন আর অসন্তোষ।
রোববার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নদীর মাটি লুটপাট করে বিক্রির বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিসে জানানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করলেও কাউকে আটক ও জরিমানা অথবা ট্রাক্টর জব্দ করেননি খাজাঞ্চি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তফসিলদার মিলু রাণী দাস।
এছাড়াও ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও সেই মাটি লুটপাটকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক ভুমিকায় রয়েছেন অ্যাসিল্যান্ড। তাই স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা যায়, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের পাশে ‘খাজাঞ্চি নদী’ থেকে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার মাটি লুটপাট করে বিক্রি করেছেন কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত বরকত উল্লাহর ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৫)।
রোববার স্থানীয় জনতার কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন খাজাঞ্চি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তফসিলদার মিলু রাণী দাস। এসময় তিনি মাটি কাটার আলামত পেলেও তাহা বন্ধ করে ট্রাক্টর ও লেবারদেরকে তাড়িয়ে দেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা পেলেও জরিমানা, কাউকে আটক অথবা ট্রাকটর জব্দ না করে চলে যান। এনিয়ে এলাকাবাসীর কাছে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে এলাকাবাসী বার বার সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) সাথে যোগাযোগ করা হলেও ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তেলিকোনো গ্রামের মিজাজুল হোসেন। ফলে মাটি কাটার বিষয়টি ভূমি অফিসে যারা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাটি লুটপাটকারী সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি কোনো মাটি বিক্রি করিনি। অল্প কিছু মাটি গ্রামের মইন উদ্দিনের বাড়িতে দিয়েছি। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে মাটি কাটা বন্ধ করে চলে গেছেন।
জানতে চাইলে তফসিলদার মিলু রাণী দাস বলেন, লোকজন বলেছে কান্দিগাঁও গ্রামে সাহাব উদ্দিন নদী থেকে প্রচুর মাটি বিক্রি করেছে। আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি রহস্যজনক ভাবে আরও বলেন, তাকে প্রাথমিকভাবে ক্ষমা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তার পরও এবিষয়ে তিনি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কাছে লিখি দিয়েছেন বলে জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) আলাউদ্দিন কাদের বলেন, তফসিলদারের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।