সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় এডিপির প্রকল্পে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। একটি ৫.৫ ফুট ও ৩ ফুটের বেঞ্চের জন্য বরাদ্দ ৩৯ হাজার ৮৫০টাকা। এসএস স্টিল দিয়ে তৈরী একটি বেঞ্চ সাথে একটি রডের তৈরী একটি ফুলদানিও দেখা গেছে। এ বেঞ্চকান্ড নিয়ে আলোচনা এখন মুখে মুখে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এ প্রকল্পের কাজ করেন উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের সাবস্টেশন ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলায় এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) ও উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কোনোটির অর্ধেক, আবার কোনোটির কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অস্তিত্বহীন নামেও প্রকল্প নিয়ে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রকল্প নিয়ে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউপি সদস্য সহ আরও পরিচিতজনদের নাম এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে উপজেলার অভ্যন্তরে বিভিন্ন দপ্তর মেরামত, সভা সেমিনার সহ নানা প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) প্রকল্পের কাজ করেন উপজেলার দুই দপ্তরের সরকারি চাকুরীজীবি দুই কর্মকর্তা।
তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে জানা যায়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থেকে উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসের সামনে বসার বেঞ্চ দেওয়ার কথা দুইটা বেঞ্চ, ফুলদানি ৩-৪ দেওয়ার কথা কিন্তু একটি বেঞ্চ ও একটি ফুলদানি সরেজমিনে দেখা যায়। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের জন্য লোকদেখানো কিছু কাজ করা হয়।
এব্যাপারে সাবস্টেশন ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কে একাধিক ফোন দেওয়ার পরও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এই বেঞ্চটা কি না আমি জেনে বলতে হবে। এবং সরকারি চাকুরী করে কেউ এডিপি বা রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে নেয়া প্রকল্পের কাজ করতে পারে না। তবে আমি যাচাই করে দেখতে হবে ঘটনাটি সত্য কি না।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে বলতে হবে।