রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

শাবিতে ‘রিমেম্বারিং দ্যা রেড জুলাই’

  • প্রকাশের সময় : ১০/১২/২০২৪ ১২:০৫:৪১
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
30

জুলাই বিপ্লবের স্মরণে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পালিত হয়েছে ‘রিমেম্বারিং দ্যা রেড জুলাই’ কর্মসূচি। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে বিজয় র‍্যালী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঋণ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিপ্লবী সংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টায় শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসে গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিক্ষাভবন-এ সামনে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেয়।


শোভাযাত্রা শেষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঋণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. এছাক মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দীন চৌধুরী। 


উপাচার্য বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা শহিদ হয়েছেন তারা যে স্বপ্নকে সামনে রেখে জীবন দিয়েছেন আমাদের সেগুলো স্মরণ করে কাজ করতে হবে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। এরজন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান তিনি।


অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন দেশের খ্যাতনামা কবি ও প্রাবন্ধিক আব্দুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ড. আতিক মুজাহিদ ও শাবির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিক মিয়া।


সভায় অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘দেশব্যাপী যখন শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হচ্ছিল। শিক্ষক হিসেবে আমাদের চুপ থাকার সুযোগ ছিল না। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই।’


তিনি আরো বলেন, ‘একাত্তরে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করি পরবর্তীতে সেটি একটা দল ও ব্যক্তি কেন্দ্রীক করা হয়েছিল। তাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। পাশাপাশি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শত্রুদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করা।’


শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো নীতি নেই উল্লেখ করে আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘স্বাধীনতা পর শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো নীতি গ্রহণ করা হয়নি। ছাত্রনেতাদের বলব, তোমরা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি রূপরেখা নিয়ে কথা বলো। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও আমাদের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা জরুরি। ঘরে ঘরে ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা ঢুকে গেছে। এটি দেশের মধ্যে ভারতীয় কর্তৃত্ব তৈরি করেছে। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে দেশের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি আছে।’


আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘সংবিধানে চারটি মুজিববাদী মূলনীতি ঢোকানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে একটি ধর্ম বানানো হয়েছে। এই আওয়ামী ধর্মের বিলোপ করতে হবে। এই জন্য তরুণদের দায় ও দরদ নিয়ে কাজ করতে হবে। এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরায় কোনো ‘এ টিম’ কিংবা ‘বি টিম’ বা অন্য কোনো রূপে ফিরে না আসতে পারে—সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জনতার দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ সংস্কার করতে হবে।’


সভা থেকে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর দিনটিকে (১৬ জুলাই) আন্তর্জাতিক ‘মেধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন । 


সিলেট প্রতিদিন / এসএএম


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি