বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

  • প্রকাশের সময় : ৩০/১১/২০২৪ ১২:০১:০২
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
13

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদের আয়োজনে এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান।


শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদ এর নির্বাহী পরিচালক জামিল চৌধুরী,  জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, পাথারিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আমিন।



অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, হাঙ্গার প্রজেক্টের জেলা সমন্বয়ক একে কুদরত পাশা, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবু সঈদ,  শান্তিগঞ্জ পিএফজির এম্বাসেডর জিয়াউর রহমান জিয়া, হারুন মিয়া, পিএফজি সদস্য সিরাজ মিয়া, সৈয়দ আলম, জিয়াসমিন, ইয়থ এম্বাসেডর স্বর্ণা রানী, উপজেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদত সাজ্জাদুর রহমান, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিউল কবির, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো.নুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ছায়াদ হোসেন সবুজ, আইনবিষয়ক সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মান্নার মিয়া ও দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান প্রমূখ।



কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।



প্রধান অতিথির বক্তেব্যে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, হাওর শুধু ধান চাষের জন্য জন্য। হাওর এবং জলাভূমি নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তা করতে হবে। হাওরে ধান চাষের চেয়ে মাছ চাষ অনেক লাভবান হবে। হাওরের বিল এবং জলাশয়গুলোর পাড় দিয়ে বৃক্ষরুপন করতে হবে। হিজল, করছ গাছ পানির নিছে নয় মাস বাচতে পারে। গাছ মাটি ধারণ করে রাখবে, মাছের খাবার হবে আবার পাখির বাসা হবে।



তিনি টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, টাঙ্গুর হাওর পর্যটনের দিক দিয়ে পর্যটকদের প্রথম পছন্দে রয়েছে তাই টাঙ্গুয়ার হাওরকে কেন্দ্র করে হাওর এলাকায় কমিউনিটি পর্যটন গড়ে তোলা সম্ভব। টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের মানুষকে শুধু মাছ ধরার কাজ না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল তারা আধুনিক দুতলা বাড়ি তৈরী করতে পারেন। নিচতলায় নিজে থাকবেন আর দ্বিতীয় তলায় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। তাতে পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে এলাবার মানুষ আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হবেন।মহাপরিচালক, উপস্থিত সবাইকে বৃক্ষরোপনে উৎসাহিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এবং খালে বিলে মাছ অভমুক্ত করার জন্য বলেন।



উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তরা বলেন, জলমহাল লিজ দেওয়ার নামে সরকারী ভাবে হাওরের মৎস ভান্ডার লোট করা হচ্ছে। বিলের মালিকরা বর্ষায় হাওরের মালিক হয়ে যান। হেমন্তে বিল সেচে মাছ ধারেন আবার মাটির নিছ থেকে মাছ ধরতে বিলে ইউরিয়া সার ব্যবহার করেন। এ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। হাওরের সকল বিল ও জলাভূমি খনন করতে হবে। যাদের কাছে বিল ইজারা দেওয়া হবে তাদের কে শর্ত দিয়ে দিতে হবে বছরে কতগুলো হিজল করছ গাছ লাগাতে হবে। শর্ত ভঙ্গ করলে ইজারা বাতিল করতে হবে।


সিলেট প্রতিদিন / এসএএম


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি