প্রতিপক্ষের হামলায় আহত চা শ্রমিক নারীর হাড়ভাঙা জখম গোপন করে আদালতে মেডিকেল রিপোর্ট (এমসি) দেওয়ার অভিযোগে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় গেলানী চা বাগানের শ্রমিক রামু কৈরী বুধবার (২৮ নভেম্বর) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন, ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোমেন উদ্দিন চৌধুরী ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরভ বিশ্বাস।
বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুরুল হককে এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
চা শ্রমিক রামু কৈরীর অভিযোগ, গত ৫ জুন একই বাগানের প্রতিপক্ষ কয়েকজন চা শ্রমিক তার মা বিপুলা কৈরীকে মারধর করে বাম হাতের হাড় ভেঙে দেয়। হাতভাঙা নিয়ে ১০ জুন পর্যন্ত তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন। হাতের এক্স-রেও সেখানেই করা হয়। রিপোর্ট ও ফিল্মে দেখা হাড়ভাঙা প্রতীয়মান হয়। যা ছাড়পত্রে উল্লেখ রয়েছে।
কিন্তু রোগীকে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়ার সময় তাকে এক্স-রে রিপোর্ট ও ফিল্ম দেওয়া হয়নি। বলা হয় আদালতে এমসি দেওয়ার সময় এক সঙ্গে সবকিছু দেওয়া হবে।
রামু কৈরী এ ঘটনায় নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে আদালতে পাঠানো এমসিতে বিপুলার হাতে সাধারণ জখম ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদীর আরও অভিযোগ করেন, চিকিৎসকরা হামলাকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আদালতে এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন; ফলে তার মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মামলার সঙ্গে সদর হাসপাতালে এক্সরে বাবদ পরিশোধ করা ৪০০ টাকার রশিদ ও ছাড়পত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আরএমও মোমেন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতালে ফিল্ম ও এক্স-রে রিপোর্ট রেখে দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। যে চিকিৎসক এমসি তৈরি করেছেন নিশ্চয়ই তার সামনে এগুলো ছিল না। আমি পুরো ব্যাপারটি খোঁজ নিয়ে দেখব। ’