বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

গোলাপগঞ্জে রাস্তায় ট্যাংকি নির্মাণ!

  • প্রকাশের সময় : ২৭/১১/২০২৪ ০৭:২৩:৫৮
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
88

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার উত্তর আলমপুর গ্রামে (লম্বাহাটি) প্রায় ২০০ বছরের পুরানো রেকর্ডিয় ইজমালী রাস্তা বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষ পেশীশক্তিতে শক্তিশালী হওয়ায় ৩৫ থেকে ৪০টি পরিবারের ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্তের ইজমালী রাস্তার ওপর বাথরুমের ট্যাংকি নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধের চেষ্টা করছে বলে সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।  


বুধবার সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উত্তর আলমপুর গ্রামের মৃত ফরমুজ আলীর ছেলে মছকন আলী এ অভিযোগ দায়ের করেন (নং ৩৫)।  


অভিযোগ সদূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন ও রিমন আহমদ, মৃত আইয়ুব আলীর দুই ছেলে জয়নাল আহমদ ও মানিক মিয়া, জামাল আহমদের ছেলে বাবু আহমদ ও মৃত চুনু মিয়ার ছেলে লেচু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জন মিলে  লম্বাহাটি গ্রামের প্রায় ২০০ বছর আগের একমাত্র ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্তের রেকর্ডীয় ইজমালী রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা বাদী মছকন আলীসহ আরও ৩৫/৪০টি পরিবার পূর্ব পুরুষ চলাচল করছেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনলোক জোরপূর্বক উক্ত অবৈধভাবে ট্যাংকি স্থাপন করতে থাকে।


বিষয়টি দেখে মছকন আলীসহ গ্রামবাসী বাধা তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে । এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দা, রামদা, জিআই পাইপ, লোহার রড, শাবল, লিবার দিয়ে বাদীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। তারা কোনোমতে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করেন। সেই সময় বিবাদীরা বাদীসহ গ্রামবাসীকে হুমকি দেয় যে, তাদের কাজে যে, কেউ বাধা নিষেধ করলে তাকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। তার লাশ গুমেরও হুমকি দেন।  


মছকন আলী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন বর্তমানে তিনিসহ গ্রামবাসী মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। সবার নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র ইজমালী রাস্তাটি উদ্ধারে তিনি দ্রুত পুলিশ প্রশাসনসহ সবমহলের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।


অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান অভিযুক্ত ও বাদেপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মিনহাজ মিনহাজ উদ্দিন সবার পক্ষ থেকে জানান, তিনি রাস্তা দখল করে ট্যাংকি নির্মাণ করেন নি। নিজের জায়গাতেই নির্মাণ কাজ চলছে।


অভিযোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানিনা কেন তারা এমনটা করছে। চাইলে গণমাধ্যম কর্মীরা নিজেরা এসে দেখে যেতে পারেন।


এদিকে মছকন আলীর অভিযোগ বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশের এডিসি মিডিয়া বুধবার সন্ধ্যায় জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে অফিসে যদি সেটা দেয়া হয় তাহলে সেটা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হবে। তারা পুরো বিষয়টি দেখে রিপোর্ট দিবেন।  


মছকন আলী আরও জানান, সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেটের ডিআইজি ও গোলাপঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়েও তিনি তার অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন।    



সিলেট প্রতিদিন / ইকে


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি